নাতাশা তিনেস। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
পুরস্কার জয়ী জর্ডনিয়ান-মার্কিনী লেখিকা নাতাশা তিনেস একটি টুইটের জেরেই হারাতে বসেছেন তাঁর আগামী বইয়ের চুক্তি। আর তার জেরে তিনি বই প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯০ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা।
গত ১০ মে সকালে একটি ছবি-সহ টুইট করেন নাতাশা। সেখানে, ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রোর এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা কর্মীর মেট্রোর মধ্যেই খাবার খাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেন। নাতাশা লেখেন, মনে হয় আমরা তো ট্রেনের মধ্যে খাবার খেতে পারি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
আধ ঘণ্টা পরেই তিনি টুইটটি মুছে ফেলেন। সেই সঙ্গে তিনি ওই কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যে সংস্থার অধীনে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনুরোধ করেন, যাতে ওই মহিলার চাকরি না যায়। সেখান থেকে তিনি সেই আশ্বাসও পান। পরে তাঁর আগামী বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা রেয়ার বার্ড বুকস-এর এক কর্তা রবার্ট জেসন পিটারসনের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁকে তিনি ব্যাখ্যা করেন, যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় হননি, তাই কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই টুইট করে ফেলেছিলেন। পিটারসনও তাঁকে আশ্বাস দেন, পাশে থাকার। কিন্তু দুপুরেই প্রকাশনা সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা প্রসঙ্গে যা লেখা হয়েচে তা ‘ভয়ঙ্কর’। এরপরই ফের একটি বিবৃতি দিয়ে রেয়ার বার্ড বুকস জানায় তারা নাতাশার নতুন বই প্রকাশ আপাতত স্থগিত রাখছে।
আরও পড়ুন : নজরদারি ক্যামেরায় ও কার ছবি! দেখে চমকে গেলেন মহিলা
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের জার্সিতে ‘বিরাট’!
রেয়ার বার্ড বুকসের এই সিদ্ধান্তের ফলে নাতাশা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এমনকি নাতাশা হুমকিও পেতে থাকেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে।
এরপরই শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ায় রেয়ার বার্ড বুকসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নাতাশার আইনজীবী। দাবি করা হয় ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ।
নাতাশার টুইটার পেজটিও এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।