প্রতীকী চিত্র
প্রত্যাশার থেকে বেশি বেতন বৃদ্ধি হয়েছে কখনও আপনার? অর্থাত্ যতটা বেতন বৃদ্ধি পাবে বলে আপনি আশা করছেন, বাস্তবে দেখা গেল তার থেকে অনেক বেশি, এমনকি কয়েকগুণ বেড়ে গেল আপনার বেতন? এমনই অভিজ্ঞতা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কোম্পানির কর্মীদের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোর ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ‘গ্র্যাভিটি পেমেন্ট’। কোম্পানিতে সম্প্রতি সব কর্মীর মাসিক বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় সাত লক্ষ ১০ হাজার ৬২২ টাকা। তাঁদের নূন্যতম বেতন দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৮৮ টাকা। এখানেই শেষ নয়, কোম্পানির লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরে কর্মীদের নূন্যতম বেতন ৪৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৫৪ টাকায় নিয়ে যাওয়া।
গ্র্যাভিডি পেমেন্টসের সিইও ড্যান প্রাইস ২০১৫ সালে নিজের বেতন প্রায় ৮০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অফিসের বাকিদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। ড্যান প্রাইস বলেন তিনি সবার সমান বেতনের পক্ষে।
আরও পড়ুন : খুলে গেল চিনের চোখ ধাঁধানো ‘স্টারফিস’ বিমানবন্দর, ভাইরাল অন্দরমহলের ভিডিয়ো
প্রাইস আরও বলেন, তাঁরা সত্যিকারের ব্যবসা করেন, কোনও দানছত্র খোলেননি। আর এই পদ্ধতিতে তাঁরা প্রতিদিন তাঁদের ব্যবসা বাড়াচ্ছেন। আর তাঁরা যেমন কোনও অনুদান নেন না, তেমনি ব্যবসার টাকা বাইরেও নিয়ে যান না। তাই লাভের টাকা কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে চান। আর তাঁরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন, এতে আখেরে লাভই হয়, ক্ষতি হয় না। কোম্পানির কর্মীরা যদি খুশি থাকেন, তাহলে সেই কোম্পানির উন্নতি আটকায় না। সেটাই হচ্ছে তাঁদের কোম্পানিতে।
আরও পড়ুন : পিঠে ঝুড়ি, স্ত্রীর পিঠে সন্তান, প্লাস্টিক-দূষণ রোধে পথ দেখাচ্ছেন এই আইপিএস অফিসার
ড্যান প্রাইসের বক্তব্য, তিনি কোনও সমস্যার নয় সমাধানের অংশ হতে চান। আর তাঁদের কোম্পানির কর্মীরা যদি লাভের ভাগ পান, তাহলে তাঁরাও কোম্পানি উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবেন। প্রাইস আরও বলেন, তিনি কর্পোরেট আমেরিকায় সমান বেতনের পক্ষে। কিন্তু দেখা যায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলি প্রচুর মুনাফা করলেও তার উপযুক্ত ভাগ কর্মীদের দেয় না। এটা হওয়া উচিত নয়। তিনি এই অসাম্যের বিরোধী।