প্রতীকী চিত্র।
ইন্দোনেশিয়ার এক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ৭৭ ছাত্রকে নাকি মানুষের মল খাওয়ানো হয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর দুই ছাত্রকে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানানো হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদপত্র জাকার্তা পোস্টের তরফে।
ইন্দোনেশিয়ার সৈকত শহর মাউমেরা-য় একটি ক্যাথলিক স্কুলের এই ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্কুলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুই ছাত্র মানুষের মল সহ একটি প্যাকেট দেখতে পায়। প্যাকেটটি সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের লকার রুমে দেখা যায়।
প্যাকেটটি কে এনেছে, জানার জন্য সপ্তম শ্রেণিতে সেটি নিয়ে যায় তারা। সেখানে সবাইকে জিজ্ঞেস করার পরও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এর পর একটি চামচ এনে তারা নাকি ৭৭ জন পড়ুয়াকে সেই মল খেতে বাধ্য করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, কেউ যেন কোনও কথা বাইরে না বলে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফল, নিজের বাচ্চাদের খেয়ে ফেলার প্রবণতা বাড়ছে মেরু ভাল্লুকদের
এক পড়ুয়া বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে বলে দেয়। তার পর তার অভিভাবকরা স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সে কথা সবাইকে জানান। হইচই পড়ে যায়। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পর ওই অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, কাউকে মল খাওয়ানো হয়নি, মুখে বা জিভে তা ঠেকানো হয়েছে মাত্র।
আরও পড়ুন: করোনার হানা বিশ্ব বাজারে, বিপুল পতন সেনসেক্সে
আপাতত ঘটনাটি সরকারি মহলেও আলোচিত। ইন্দোনেশিয়ার চিল্ড্রেন্স প্রোটেকশন কমিশনের প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে।