তেহরানের মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ছবি: টুইটার
মেট্রো থেকে নামার পরেই যাত্রীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা, ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ইরানের রাজধানী তেহরানের মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ফেসবুক-টুইটারে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, একটি মেট্রো স্টেশনে সবে মাত্র ট্রেন এসেছে। ট্রেন থেকে নেমেছেন অনেকে। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে আবার বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শোনা যায় গুলির শব্দ। মেট্রো থেকে নেমে স্টেশনে পা রাখা যাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শোনা মাত্র স্টেশনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সকলে প্রাণভয়ে ছুটতে শুরু করেন। হুড়োহুড়িতে অনেকে পড়েও যান, দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে।
ইরানে সাধারণ মানুষের উপর সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের অত্যাচারের নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরেই সরকারবিরোধী প্রতিবাদে শামিল হয়েছে ইরানবাসী। হিজাব না পরার কারণে মাহশা আমিনিকে আটক এবং পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু ইরানজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলারা প্রকাশ্যে হিজাব না পরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের উপর নেমে এসেছে সরকারি পীড়ন। তেহরানের মেট্রো স্টেশনেও প্রতিবাদের জেরেই নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিছু কিছু ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তেহরানের মেট্রোয় সরকারি আধিকারিকরা হিজাব না পরা মহিলাদের উপর অত্যাচার করছেন। তবে প্রতিবাদীরা পিছু হঠতে নারাজ। একজোটে তাঁদের দাবি, ‘‘আমরা মরে যাব, তবু লড়াই থামতে দেব না। আমরা ইরানে বিপ্লব আনবই।’’
১৬ অক্টোবর মাহশা-মৃত্যুর পর থেকেই ইরানের নানা প্রান্তে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। মহিলাদের প্রকাশ্যে চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদীদের উপর অত্যাচার করে বিক্ষোভ দমিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।