ইউক্রেনে উদ্ধার গণকবর। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের শহরে গণকবর খুঁড়ে মৃতদের দেহে প্রবল অত্যাচারের নিদর্শন মিলেছে। সরকারের তরফে কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে সে সব দেহ। মৃতদেহগুলি পর্যবেক্ষণের পর দেখা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কারও কারও যৌনাঙ্গ কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে।
ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সে দেশের একাধিক এলাকায় দখল হারাচ্ছে রাশিয়া। খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহর দখলমুক্ত হওয়ার পর সেখানে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেই কবরগুলিতেই রুশ সেনার ‘অমানুষিক’ অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজিয়ুমে পাওয়া সমস্ত মৃতদেহেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে এ কথা পরিষ্কার যে, প্রত্যেককেই নির্মম ভাবে যন্ত্রণা দিয়ে মারা হয়েছিল। কারও কারও যৌনাঙ্গে কেটে নেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর আগে।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক উপমন্ত্রী ইয়েভহেনি ইয়েনিন বলেছেন, ‘‘আমরা প্রায় প্রতি দিনই এমন কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করছি, যাঁরা মৃত্যুর আগে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। এমন প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারও হাত-পা ভাঙা, কারও পাঁজর ভাঙা, কারও খুলি থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, হাত বাঁধা অবস্থায় কবরস্থ করা হয়েছে এমন মৃতদেহও মিলেছে।’’
ইয়েনিন জানিয়েছেন, এক দিনেই ইজিয়ুম শহর থেকে ১৪৬টি ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’টি শিশুর দেহও রয়েছে। খারকিভ প্রশাসন সূত্রের খবর, নিহতেরা সকলেই অসামরিক নাগরিক। কী ভাবে তাঁদের উপর অত্যাতার করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। রুশ প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সেনা আধিকারিক আলেকজান্ডার দর্নিকভের হাতে বেশ কয়েক মাস পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে সেনা অভিযানের দায়িত্ব ছিল। ‘সিরিয়ার কসাই’ নামে পরিচিত এই রুশ জেনারেলের বিরুদ্ধে অতীতেও গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ইজিয়ুমের গণহত্যায় তাঁর হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।