ভ্লাদিমির পুতিন।
তৃতীয় দফায় ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবরে বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সে সবের তোয়াক্কা না করে এ বার টিকা উৎপাদনের কথাও জানিয়ে দিল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলির সূত্রে খবর, শনিবার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম দফায় প্রতিষেধক তারা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে। প্রথমে তা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রতিষেধকের জন্য সাধারণ মানুষকেও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। সেপ্টেম্বর মাসেই সকলের জন্য তা বাজারে চলে আসবে।
গত মঙ্গলবার আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বকে চমকে দিয়ে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে গামালেয়া ইনস্টিটিউট। বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেই ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার উৎক্ষেপিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ভ্যাকসিনের নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। তবে চমক যতই থাকুক না কেন, উল্কাগতিতে তৈরি প্রতিষেধকটি তার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে। তাঁর মেয়েকেই প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে, ভ্যাকসিনটি ভরসা যোগ্য— এ সব বলে পুতিন যতই আশ্বাস দিন না কেন, প্রতিষেধকটি নিরাপদ কি না, তার কার্যকারিতা কতটা ইত্যাদি নিয়ে প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি এ বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মনীতি না-মানার অভিযোগ উঠেছে খোদ রাশিয়ার অন্দরেও। প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন রাশিয়ার প্রথম সারির চিকিৎসক অলেকজান্ডার চুচালিন।
বিশ্বে করোনা
মৃত ৭,৭১,৩৭৮
আক্রান্ত ২,১৭,৫৩,৬৬০
সুস্থ ১,৪৪,৭৯,৪৯২
তবে বিশেষজ্ঞরা যা-ই বলুন না কেন, নবলব্ধ ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান, অলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ শনিবার জানিয়েছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে প্রতিষেধকের দু’টি করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। তবে সে জন্য কাউকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে না। তাঁরা বাড়ি থেকেই স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।