রহমানের হুঁশিয়ারি। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন এআর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। গত সপ্তাহে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার চব্বিশ ঘণ্টা মধ্যে নিজের বিয়ে ভাঙার খবর দেন রহমানের সহযোগী মোহিনী দে। এই নিয়ে সমাজমাধ্যম জুড়ে ফিসফাস। সকলেই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে ব্যস্ত। রহমানের সঙ্গে মোহিনীর নাম জড়িয়ে নানা ধরনের তথ্য ঘুরছে নেটপাড়ায়। যদিও সুরকারের হয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন সন্তানরা। এ বার গর্জে উঠলেন রহমান নিজেই। একেবারে সময়সীমা বেঁধে দিলেন। মানহানির মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অস্কারজয়ী সুরকার।
সম্প্রতি রহমানের এক্স হ্যান্ডলে তাঁর আইনজীবীদের তরফ থেকে কয়েকপাতার একটি নোটিশ পোস্ট করা হয়। সেখানেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সুরকার ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। বলা হয়, যে বা যাঁরা আপত্তিকর পোস্ট করেছেন অথবা ভিডিয়ো দিচ্ছেন তাঁরা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেগুলি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলুন। না হলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
রহমানের মেয়ে রহিমাও এই গুজবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘সর্বদা মনে রাখবেন, গুজবের জন্ম দেয় নিন্দকেরা। ছড়িয়ে দেয় বোকারা। সেটা বিশ্বাস করে নির্বোধেরা।’’ আসলে নাম না করেই বাবাকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের কড়া জবাব দিলেন রহিমা। বিরক্ত হয়ে রহমানের ছেলেও সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমার বাবা একজন ঐতিহ্যশালী শিল্পী। শুধুই নিজের কাজের জন্য নয়। তাঁর মূল্যবোধের জন্যও তিনি মানুষের ভালবাসা ও সম্মান অর্জন করেছেন। তাই এই ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়ছে দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।” যে মোহিনীর সঙ্গে রহমান নাম জুড়ে অহেতুক চটুল তথ্য দিচ্ছেন যাঁরা। তাঁদের উদ্দেশে মোহিনী জানান, গুজবকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজের সময় নষ্ট করতে চান না তিনি।