ছবি: রয়টার্স।
মাত্র দু’মাস হল ক্ষমতায় এসেছেন জো বাইডেন। এর মধ্যেই অভিবাসী সমস্যায় জর্জরিত তাঁর প্রশাসন। মধ্য আমেরিকা থেকে এসে প্রতিনিয়ত আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে ভিড় বাড়াচ্ছেন শরণার্থীদের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যেই শাসক দলের সমালোচনায় সরব। বাইডেনের নিজের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশ কিছু নেতা-নেত্রীও শরণার্থী সমস্যা নিয়ে সরকারের নিন্দা শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মেক্সিকো সরকারের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসল আমেরিকান প্রশাসন।
গত কাল মেক্সিকোয় নিজের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন বাইডেন। মেক্সিকোর সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাইডেনের প্রতিনিধি তথা আমেরিকার সীমান্ত সমন্বয়কারী অফিসার রবার্টা জ্যাকবসন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, অভিবাসীদের মানবাধিকার রক্ষা করে কী ভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা যায়। বিশেষত বাবা-মা ছাড়া যে সব শিশু সীমান্তে আটকে রয়েছে, তাদের দেখভালের বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। শিশু অভিবাসীদের জন্য আমেরিকান সরকার ইতিমধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিল হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতর। কিন্তু অবৈধ শরণার্থীদের বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে বাইডেন প্রশাসনকে। অভিবাসন আটকাতে মধ্য আমেরিকার দেশগুলিতে কী ভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আনা যায়, সে নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চালাচ্ছে আমেরিকা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাইডেন দাবি করে এসেছেন, পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অভিবাসী নীতি নিয়ে নরম হবেন তিনি। মেক্সিকো সরকারের বক্তব্য, এর ফলে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন যে, আমেরিকায় এখন অবৈধ ভাবে ঢোকাটা অনেক সহজ। তাই সীমান্তে ভিড় বাড়ছে। গত কয়েক বছরে মূলত গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাদোরের মতো দেশগুলি থেকে আমেরিকায় প্রবেশের জন্য হুড়োহুড়ি দেখা যাচ্ছে। মেক্সিকোর অতি দরিদ্র দক্ষিণাংশ থেকেও প্রচুর মানুষ সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছেন। কড়াকড়ি শুরু করেছে মেক্সিকো সরকারও। রাত চশমা ও ড্রোনের সাহায্যে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে সেনা। মেক্সিকোর মানবাধিকার সংগঠনগুলির আশঙ্কা, এর ফলে শরণার্থীদের উপরে নির্যাতন আরও কয়েক গুণ বাড়বে।