প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর বিরুদ্ধে নজরদারি চালানো ‘ফিনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ বা এফএটিএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট ২৭ দফার পরিকল্পনা ‘দ্রুত শেষ করুক’ পাকিস্তান— ইমরান খান সরকারের উদ্দেশে সোমবার এমনই বার্তা দিল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের দাবি, সময় নষ্ট না-করে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী এবং জঙ্গি কমান্ডারদের বিরুদ্ধে কড়া তদন্ত চালানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করুক ইসলামাবাদ। যাতে অন্তত বিশ্বের সামনে এটা প্রমাণিত হয় যে, প্রশাসন ঠিক দিকেই এগোচ্ছে।
সোমবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘‘এফএটিএফ-এর দ্বিতীয় ভাগের পরিকল্পনাগুলি পূরণের ক্ষেত্রে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে পাকিস্তান।’’ তাঁর বক্তব্য, এফএটিএফ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাকি কাজটুকু দ্রুত নিষ্পত্তি করুক দেশটি। প্রাইসের মন্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ যাদের সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করেছে, সন্ত্রাসে মদত জোগানো নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং আইনি পদক্ষেপ করা হোক নেওয়া হোক তাড়াতাড়ি।’’
২০১৮ থেকেই এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। গত মাসে তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে পাকিস্তানকে এখনও এই তালিকায় রাখা হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চালায় সংগঠনটিকে। শেষ পর্যন্ত আর্থিক তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাছে আর্থিক মদত পৌঁছনো সম্পূর্ণ ভাবে রুখতে ব্যর্থ হওয়ার জেরে আগের অবস্থানেই অনড় থেকে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দেওয়া হয়। কূটনীতিকদের মতে, এখন যা পরিস্থিতি তাতে পাকিস্তানকে এফএটিএফ-এর ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কারণ ছিল না। তবে চিন, তুরস্ক এবং মায়ানমার পাশে দাঁড়ানোয় এ যাত্রায় সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেয়েছে পাকিস্তান।