ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকায় করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৭ লক্ষ। শুক্রবারে এই তথ্য জানিয়েছে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। দেখা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ ছুঁতে সময় লেগেছে মাত্র ১০৮ দিন। অর্থাৎ গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে এ দেশে রোজ গড়ে হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন আমেরিকার করোনা বিশেষজ্ঞেরা।
মৃত্যুর নিরিখে আমেরিকার পরেই রয়েছে ব্রাজিল এবং ভারত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫,৯৭,০০০ জনের। শনিবার পর্যন্ত ভারতে সেই সংখ্যাটা ৪,৪৮,৫৭৩ জন। শুধু মৃত্যু নয়, সংক্রমণের নিরিখেও বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। ডেল্টা স্ট্রেনের কারণে এই বাড়বাড়ন্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছে প্রশাসন।
দেশের প্রায় ৫৫.৭ শতাংশ মানুষের করোনা টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেও অনেকেরই টিকায় অনীহা রয়েছে। তাঁদের থেকে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। অন্য দিকে বহু শিশু টিকাকরণের আওতায় না আসায় আগামী দিনে ওদের ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সুরক্ষার খাতিরে তাই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। আর কিছু দিনের মধ্যেই সমস্ত স্কুল-কলেজ পুরোদমে খুলতে চলেছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার খাতিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকাগ্রহণ আবশ্যিক বলে আগেই জানিয়েছিল ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। অন্যথায় প্রতি সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্কুল-কলেজ খোলার মুখে ১২ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের টিকাকরণ এ বার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হল। ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের হাম, বসন্তের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। কেন? তা ওদেরই সুরক্ষার জন্য। তেমনই প্রত্যেকের করোনা টিকা নেওয়া দরকার।’’
অন্য দিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী ওষুধ বাজারে আসতে চলেছে বলে জানাল আমেরিকার একটি ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা। ওই ওষুধ প্রয়োগ করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির আশঙ্কা ৫০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা যাবে বলে তাদের দাবি। ওষুধটিকে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি আমেরিকায় খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে এই ধরনের ওষুধ যতই কার্যকর হোক না কেন করোনা ঠেকাতে টিকার কোনও বিকল্প নেই বলেই মত দিচ্ছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞেরা।