প্রতীকী চিত্র।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে সফর নিয়ে সতর্কতা জারি করল আমেরিকা, ব্রিটেন, ইজ়রায়েল, কানাডা, সিঙ্গাপুর-সহ বেশ কিছু দেশ। বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র অসমে ইতিমধ্যেই সাময়িক ভাবে সরকারি সফর স্থগিত রেখেছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
মার্কিন সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে প্রতিবাদ ও হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে তার ভিত্তিতে আমেরিকার নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। পরিবহণ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে।’’ নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসের তরফেও সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের।
আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, ‘‘ভারতের অন্যতম শক্তি তার সংবিধান। অন্য একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা সেই সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমরা এই নয়া আইনে উদ্বিগ্ন। আশা করব সরকার সংবিধান ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে।’’ আগামী ১৮ ডিসেম্বর ভারত-মার্কিন বৈঠকে অংশ নিতে সে দেশে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কাশ্মীর ও অসমের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত-মার্কিন মুসলিম কাউন্সিলও।
আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মণিপুরের একাধিক জায়গায় সফরে সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটেনের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস। উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়াও, পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গ, শ্রীনগর-সহ জম্মু কাশ্মীরের বহু জায়গায় সফর নিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটি। উত্তর-পূর্ব ভারতে সফর নিয়ে সতর্ক করেছে সিঙ্গাপুর ও কানাডাও।