প্রতীকী চিত্র।
সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৬১ জন ভারতীয় নাগরিককে এ দেশে ফেরত পাঠাবে আমেরিকা। একটি বিশেষ চার্টাড বিমান তাঁদের নিয়ে আসা হবে পঞ্জাবের অমৃতসরে। জানা গিয়েছে, ওই ১৬১ জনের অধিকাংশই মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছিলেন।
১৬১ জন অবৈধ প্রবেশকারীর মধ্যে ৭৬ জন হরিয়ানা ও ৫৬ জন পঞ্জাবের বাসিন্দা। ১২ জন গুজরাতের, পাঁচ জন উত্তরপ্রদেশের, চার জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তেলঙ্গানা ও কেরলের বাসিন্দা রয়েছেন দু’জন করে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও গোয়া থেকে রয়েছেন এক জন করে।
এ ব্যাপারে উত্তর আমেরিকার পঞ্জাবি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (এনএপিএ) সতনাম সিংহ চহ্বাল জানিয়েছেন, অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশকারী প্রায় এক হাজার ৭৩৯ জন ভারতীয় আমেরিকার ৯৫টি জেলে বন্দি হয়েছেন। অবৈধ ভাবে প্রবেশের জন্য তাঁদের গ্রেফতার করেছে অভিবাসন ও শুল্ক এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। তাঁদের মধ্যে ওই ১৬১ জনকে ফিরিয়ে দিচ্ছে আমেরিকা। সতনাম বলেছেন, ‘‘আমেরিকার জেলে থাকা বাকি ভারতীয় ভাষাভাষি লোকেদের ভাগ্যে কী আছে জানি না।’’ ১৬১ জনের মধ্যে তিন জন মহিলাও আছেন বলে জানানো হয়েছে এনএপিএ-র তরফে। তাঁদের মধ্যে সব থেকে ছোট ১৯ বছরের হরিয়ানার এক যুবক।
আইসিই-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮-তে ৬১১ জন অবৈধ প্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছিল আমেরিকা। ২০১৯-এ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল এক হাজার ৬১৬তে।
আরও পড়ুন: দায়ী চিন? করোনা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তে ভারত-সহ ৬২ দেশ
অবৈধ প্রবেশকারীদের নিয়ে অনেক বছর ধরেই কাজ করছেন সতনাম। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের কোন রাজ্য থেকে কত অনুপ্রবেশকারী আছে, তা জানা নেই। তবে অধিকাংশই উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, মানব পাচারকারী ও এক দল অফিসার এই অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী। তাঁরা সেখানকার তরুণদের উৎসাহিত করেন আমেরিকায় আসার জন্য। সেই ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে আমেরিকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশে করে তাঁরা। এই কাজে তাঁদের কাছ থেকে মধ্যস্থতাকারী ও অবৈধ দালালরা মাথাপিছু ৩৫-৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ তাঁর। সেই সব বেআইনি দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্জাব সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন সতনাম।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণাঙ্গেরা যে অসাম্যেই, দেখাল করোনা: ওবামা