নিষ্ঠুর তালিবানের মতি পরিবর্তনের আশা করছে না আমেরিকা। ছবি: রয়টার্স
আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়েছে। কিন্তু আফগানিস্তান আমেরিকাকে ছেড়েছে কি? কাবুল থেকে আমেরিকার ঘোষিত শেষ উদ্ধারকারী বিমান উড়ে যাওয়ার পর প্রথম বার জনসমক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পেন্টাগন।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেনারেল মার্ক মিলি। জেনারেল মিলির কথায় স্পষ্ট, তালিবানের মতি পরিবর্তনের আশা করছে না আমেরিকা। তবে তালিবানকে সঙ্গে নিয়েই সে দেশে আইএস-কে মোকাবিলার ছক কষছে পেন্টাগন।
আফগানিস্তানের মাটি থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের চটজলদি বাস্তবায়নের জেরে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও যে আমেরিকার আফগানিস্তান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তা বুধবার পরিষ্কার করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। যদিও এক বারও তালিবানের নামোচ্চারণ করেননি লয়েড।
তাঁদের প্রশ্ন করা হয়, তালিবান নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান কী? উত্তরে জেনারেল মিলি বলেন, ছোট ছোট কয়েকটি বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে আমেরিকা। এর সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলার কারণ খোঁজা ঠিক নয়। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, আফগানিস্তানে আমেরিকার জঙ্গি দমন অভিযানের অভিমুখ কী হবে? তার উত্তর দিয়েছেন জেনারেল মিলি। তাঁর কথায়, এটা ঠিক যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এ বার থেকে মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবে আমেরিকা। অর্থাৎ তালিবানের সঙ্গে মিলেই আফগানিস্তানে আইএস-কে-র বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে আমেরিকা।
আফগানিস্তান থেকে অগস্টের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে আমেরিকা। তাদের হিসেব অনুযায়ী, এখনও ১০০ থেকে ২০০ জন আফগানিস্তানে আটকে আছেন। অন্য দিকে কাবুলে সরকার গড়ার তোড়জোড় চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। সরকার গঠনের পর তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।