পাচার করে ওই প্রাণীগুলি বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
সাপ, গিরগিটি ভিন্ দেশ থেকে পাচার করছিলেন এক ব্যক্তি। শুল্ক দফতরের নজর এড়াতে সাপ, গিরিগিটি-সহ ৬০টি সরীসৃপকে প্যান্টের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষমেশ ধরা পড়ে যান ওই ব্যক্তি। তাঁকে জেরা করতেই পর্দাফাঁস হল পাচার কারবারের।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা জোস ম্যানুয়েল পেরেজ এই পাচার কারবারের চক্রী বলে দাবি করা হয়েছে। তদন্তে নেমে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। গত ছ’বছর ধরে এই কারবার চালাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। মেক্সিকো ও হংকং থেকে প্রায় ১৭০০ প্রাণীকে পাচার করে আমেরিকায় নিয়ে এসেছেন তিনি।
বিচারবিভাগের কাছে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন এই পাচার কারবারের কথা। তিনি জানিয়েছেন, সরীসৃপগুলিকে পাচারের জন্য খচ্চর ভাড়া করতেন। কখনও নিজেই সীমান্ত এলাকা থেকে পাচার করে তাদের আনতেন।
উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ইউকাটান বক্স টার্টলস’, ‘মেক্সিকান বক্স টার্টলস’ (মেক্সিকার একধরনের কচ্ছপ), বাচ্চা কুমির, মেক্সিকার প্রজাতির গিরগিটি। ওই প্রাণীগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হত।
গত মার্চ মাসে ৬০টি সরীসৃপকে নিয়ে মেক্সিকো থেকে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। তখনই শুল্ক দফতরের কাছে ধরা পড়ে যান তিনি। দেখা যায়, তাঁর প্যান্টের বিভিন্ন অংশ থেকে ওই প্রাণীগুলিকে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। উদ্ধার হওয়া সরীসৃপগুলির মধ্যে তিনটি মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
এই অপরাধে ওই ব্যক্তির মোট ৪৫ বছরের সাজা হতে পারে। আগামী ১ ডিসেম্বর সাজা ঘোষণা করা হবে।