—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের প্রতি আরও দরাজহস্ত আমেরিকা। ‘ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা রুখতে’ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আরও একটি রণতরী পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। প্রথমটির মতো এই রণতরীটিও যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ারের নামাঙ্কিত এই রণতরীটি খুব শীঘ্রই অন্য রণতরীটির সঙ্গে কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে আমেরিকার তরফে। শনিবার আমেরিকার বিদেশ সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, “ইজ়রায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। তা ছাড়া রাষ্ট্র কিংবা কোনও গোষ্ঠীর কাজ যদি যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম দেয়, তা হলে আমরা তার প্রতিরোধ করবই।” গত রবিবারই পেন্টাগনের তরফে জানানো হয় যে, তারা জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের একটি যুদ্ধবিমান এবং রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে। এর ফলে হামাসের অতর্কিত আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা ইজ়রায়েলের বাড়বে বলে জানায় আমেরিকা।
আমেরিকা যখন আরও সক্রিয় ভাবে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেই সময় ‘নিরীহ’ প্যালেস্তিনীয়দের হয়ে সওয়াল করে ইরান রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইহুদিপ্রধান দেশটিকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মাধ্যমে তেহরান জানিয়েছে যে, হামাস অধিকৃত গা়জ়া ভূখণ্ডে যদি ইজ়রায়েল হামলা চালায়, তবে তার পরিণতি ‘সুদূরপ্রসারী’ হবে। ঘটনাচক্রে, শনিবার লেবানন সফরে গিয়েছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি হুঁশিয়ারি দেন ইজ়রায়েলকে। ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সফর চলাকালেই ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দেন লেবাননের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হেজ়বুল্লার এক শীর্ষনেতাও।