pakistan

Pakistan: আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান! বিদেশি বর্জ্যের রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেতাদের

রিপোর্ট তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দাবি, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে দেশগুলি বেশি সরব, তারাই পাকিস্তানে বেশি বর্জ্য রফতানি করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২ ২০:৪৭
Share:

প্রতি বছর পাকিস্তানে ৩ কোটি টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।

চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই পাকিস্তান সরকারের চিন্তা বাড়াল সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পাক নেতাদের। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ইটালি, সৌদি আরব-সহ বহু দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টন বর্জ্যপদার্থ আমদানি করা হচ্ছে দেশে। পাক পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থানীয় বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় সময় জানা যায়, এই বর্জ্য আমদানি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না কমিটির অধিকাংশ সদস্য।

Advertisement

রিপোর্ট তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দাবি, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে দেশগুলি বেশি সরব, তারাই পাকিস্তানে বেশি বর্জ্য রফতানি করে। কমিটির অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের নাকের ডগায় এত দিন ধরে দেশে বর্জ্য আমদানি হলেও কেন তা আটকানো হয়নি? সব জেনেও কেন চুপ করে বসে রয়েছে পাকিস্তানের প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকার?

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর পাকিস্তানে ৩ কোটি টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। দেশে অন্তত ৮০ হাজার টন বর্জ্য আমদানি হয় গোটা বিশ্ব থেকে। সপ্তাহখানেক আগেই এই রিপোর্ট পাক মন্ত্রিসভার হাতে এসে পৌঁছেছিল। তার পরেই বর্জ্য আমদানি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় পাক নেতাদের কাছে তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকারকে বিঁধেছেন প্রাক্তন শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ফয়জল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘আমদানি করা বর্জ্য চাই না (ইমপোর্টেড ওয়াস্ট না মনজুর)।’’ উল্লেখ্য, গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই শাহবাজ সরকারকে ‘ইমপোর্টেড গভর্নমেন্ট’ সম্বোধন করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement