গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে। ছবি: রয়টার্স।
অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে দক্ষিণ গাজ়া স্ট্রিপের রাফায় থাকা শরণার্থীদের। এরই মধ্যে গাজ়ার উপরে হামলা চালানোর বিরোধিতা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সব ক’টি দেশ। আমেরিকার জো বাইডেন সরকারও এই প্রথম ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে। গাজ়া ভূখণ্ডের রাফায় ইজ়রায়েলের হামলা চালানোর বিরোধিতা করে সে দেশকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। যা চাপ বাড়াচ্ছে ইজ়রায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের উপরে।
জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার মিশর সীমান্তের রাফা শহরে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলের দাবি, রাফায় ঘাঁটি রয়েছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর। এ দিকে, গাজ়া ভূখণ্ডের একদম দক্ষিণ প্রান্তে রাফাতেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৪ লক্ষ প্যালেস্টাইনি। নানা মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, ইজ়রায়েলের হামলার জেরে মৃত্যু হচ্ছে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের। খাবার, পানীয় জল, ওষুধ-সহ নানা জরুরি সামগ্রী সময়ে না পাওয়ার কারণে তাঁবুর ভিতরেই কার্যত অনাহারে মৃত্যুর মুখ দেখতে হতে পারে বহু প্যালেস্টাইনিকে, এমন আশঙ্কাও করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলি। রাষ্ট্রপুঞ্জ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই ভাবে যদি ইজ়রায়েল হামলা চালাতে থাকে, তা হলে তা ‘গণহত্যার’ দিকে ক্রমশ এগোবে। তবে নেতানিয়াহু এই সকল বিরোধীতা ও আশঙ্কাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
এই আবহে গাজ়ায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। আমেরিকাই সেই প্রস্তাবটি পেশ করেছে। তাতে জানানো হয়েছে, রাফা সীমান্তে থাকা মানুষদের মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা ইজ়রায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে এবং বন্দিমুক্তির জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি ‘দ্রুত কার্যকর করতে হবে’। বলা হয়েছে, যদি রাফায় এ ভাবে হামলা চালাতে থাকে ইজ়রায়েল, তা হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ নাগরিকেরা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে আলজেরিয়াও রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছিল। সেটি নাকচ করে দিয়ে আমেরিকার দাবি, ওই প্রস্তাবে বন্দিমুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।