ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা মার্ক মেডোস। ছবি: রয়টার্স।
তোতলাতেন। তবু ‘ক্লাস প্রেসিডেন্ট’-এর পদ তাঁরই ছিল বাঁধা। সে দিনের জোসেফ রবিনেট বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর, আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায়। পারিবারিক ব্যবসা ছিল খনিজ তেলের। দুই ভাই এবং এক বোনের পরিবারে বড় হওয়া বাইডেনের প্রাথমিক পড়াশোনা ক্লেমন্টের আর্চমেয়ার অ্যাকাডেমিতে। ফুটবল এবং বেসবলে ছিলেন চৌখস। ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৬৫ সালে স্নাতক হন। বিষয় ছিল ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইংরেজি। ১৯৬৮ সালে তিনি আইনবিদ্যায় ডিগ্রি পান। পরে বাইডেন বলেছিলেন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কবিতাপাঠ করে তিনি তোতলামির সমস্যা থেকে মুক্ত হন।
বাইডেনের প্রথম চাকরি ছিল উইলমিংটন ল’ ফার্মে। পরবর্তী কর্মস্থল— ল’ ফার্মের কর্ণধার ছিলেন ডেমোক্র্যাট। তাঁর সান্নিধ্যে বাইডেনও সক্রিয় ডেমোক্র্যাটপন্থী হয়ে ওঠেন। কাউন্টি কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করার পরে ১৯৭২ সালেই তিনি ডেলাওয়্যার থেকে জুনিয়র সেনেটর। সেই বছরেই পথদুর্ঘটনায় হারান প্রথম স্ত্রী নেলিয়া ও শিশুকন্যা নেওমিকে।
বাইডেনের বড় ছেলে বো বাইডেনও রাজনীতিতে এসেছিলেন। ২০১৫ সালে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ব্রেন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ছোট ছেলে রবার্ট হান্টার বাইডেন আইনজীবী এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা। প্রথম স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যুর পর রাজনীতি ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন। এমনকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। তাঁকে আবার জীবনের পথে ফিরিয়ে আনেন জিল ট্রেসি জেকবস। জিল বাইডেনের ভাইয়ের কলেজের সহপাঠী। ১৯৭৭ সালে দু’জনে বিয়ে করেন। তাঁদের কন্যা অ্যাশলে ব্লেজার সমাজকর্মী।
১৯৭৩-২০০৯ পর্যন্ত বাইডেন ছিলেন ডেলাওয়্যারের ডেমোক্র্যাট সেনেটর। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই দফার মেয়াদে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।