Bagda Cooperatives Election

‘শক্ত ঘাঁটিতে’ সমবায় ভোটে ধরাশায়ী বিজেপি

শনিবার ভোট হয় মাত্র ৯টি আসনে। তৃণমূল জয়ী হয়েছে ৭টিতেই। নির্দল এবং বিজেপি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। এই সমবায়ে আগে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূলই।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাগদা এলাকায় কি ক্রমশ রাজনৈতিক জমি হারাচ্ছে বিজেপি? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, এ বার এখানকার একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনেই প্রার্থীই দিতে পারেনি পদ্মশিবির।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাগদা এলএস পিসিএসিএস লিমিটেডের ভোট হয়। আসন সংখ্যা ৪৪টি। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল মাত্র তিনটিতে। তৃণমূল আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। শনিবার ভোট হয় মাত্র ৯টি আসনে। তৃণমূল জয়ী হয়েছে ৭টিতেই। নির্দল এবং বিজেপি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। এই সমবায়ে আগে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূলই। ১০টি গ্রাম নিয়ে এই সমবায়। আটটি গ্রামে বিজেপি কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। কেবলমাত্র বারাণসীপুর এবং দেওয়ালদহে তারা প্রার্থী দিয়েছিল।

কেন তারা সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না? বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসই এর কারণ। আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভাবতে অবাক লাগে, আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি, যেখানে একটি সমবায়ের ভোটেও তৃণমূল সন্ত্রাস করছে!’’ যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাগদার তৃণমূল নেতা পরিতোষ সাহা বলেন, ‘‘বাগদায় বিজেপি নেই। ৪৪টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো লোকই খুঁজে পায়নি! বিধানসভার উপনির্বাচনে ওরা হেরেছে। আগামী দিনে বিজেপি এখানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’ সন্ত্রাসের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এক মাস আগেই ডহপোতায় সমবায় ভোটে বিজেপি ৬টি আসনের সব ক’টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিজেপি সব ক’টি আসনে পরাজিত হয়েছিল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এখানে বিজেপির কী হাল!’’

Advertisement

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকে বিজেপি বাগদার মাটিতে শক্তি বাড়াতে থাকে। ২০১৮ সালের লোকসভা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী এখান থেকে বড় ব্যবধানে লিড পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও এখানে বিজেপি জয়লাভ করে। ছন্দটা কাটে গত লোকসভা ভোটের পরে, বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে। বিজেপি পরাজিত হয়। ওই ভোটে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রবল আকার নিয়েছিল বলে দলের অন্দরের খবর। বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী চেয়েছিলেন, স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু প্রার্থী করা হয়েছিল বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের এক জনকে। যা মেনে নিতে পারেননি দলের অনেকে। তাঁরা অন্য এক জনকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement