আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসলে চিন, পাকিস্তানকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করতে চান নিকি। ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েই চিন, পাকিস্তানের মতো ‘শত্রু দেশ’কে অনুদান দেওয়া বন্ধ করতে চান নিকি হ্যালে। রিপাবলিকান দলের সদস্য নিক্কি গত ১৫ ফেব্রিয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানান যে, হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে অন্য পদপ্রার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন তিনিও। সম্প্রতি আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এ লেখা একটি উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে আমেরিকার শত্রু দেশগুলোকে সিকি পয়সাও অনুদান দিতে চান না।
আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলাইনা প্রদেশের প্রাক্তন গভর্নর এবং রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার প্রাক্তন দূত নিকি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “যে সব দেশ আমেরিকাকে ঘৃণা করে, সেই সব দেশের হাতে আমাদের দেশের মানুষদের কষ্টার্জিত অর্থ আমি কিছুতেই তুলে দেব না।” কোন কোন দেশ আমেরিকার অনুদান পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিকি। তাঁর কথায়, “যে সব দেশের নেতারা আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পারবেন এবং আমাদের সহযোগী দেশগুলির পাশে দাঁড়াবেন, শুধু তাঁদেরই অনুদান দিতে থাকবে আমেরিকা।” বেলুন বিতর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন আড়াআড়ি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে, সে সময় নিকির এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কিছু উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ইরানকে সাহায্য করার পরও সে দেশ থেকে আমেরিকা বিরোধী স্লোগান উঠে আসছে। বেলারুশকে অনুদান দেওয়ার পরেও যে তারা ইউক্রেনে রুশ ‘আগ্রাসনে’র পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের লেখায় চিনকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ বলে তকমা দিয়েছেন নিকি। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষে অনুদান খাতে ৪৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে তার জন্য ডেমোক্র্যাট শিবির কিংবা বাইডেনকে দূষতে চান না নিকি। তাঁর মতে, দীর্ঘ দিন ধরেই এই প্রথা চলে আসছে আমেরিকায়। তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হলে এই নিয়মেই বদল আনতে চান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি নিজের ‘রিফিউজি’ পরিচয় নিয়েও গর্বিত। তাঁকে জেতালে অন্য রিপাবলিক পার্টিকে দেখবে আমেরিকা, এমনই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিকি।