জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।
আমেরিকা জুড়ে নতুন উদ্বেগের নাম ওমিক্রন। এ বার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখেও শোনা গেল তারই প্রতিধ্বনী। বৃহস্পতিবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ বারের শীতে আমরা টিকাহীনদের গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছি।’’
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খুঁজে পাওয়া করোনার এই নতুন রূপটি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানা বাকি বলে জানাচ্ছেন করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু যে টুকু জানা গিয়েছে, তাতেই উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে আমেরিকা সরকার মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাইডেনের পরামর্শ, ‘‘যাঁদের এখনও প্রথম টিকাটি নেওয়া হয়নি, তাঁরা দ্রুত নিয়ে ফেলুন। আর যাঁরা দু’টি টিকাই নিয়ে ফেলেছেন, তাঁরা তৃতীয় বুস্টার টিকাটি নিয়ে নিন।’’
আমেরিকা সরকারের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে দেশে গড় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৮৬ হাজার। এখন তা বেড়ে ১ লক্ষ ১৭ হাজার হয়েছে। দৈনিক গড়ে মৃত্যু হচ্ছে ১,১১৫ জনের। ৩৫ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে বাইডেন জানিয়েছেন, উদ্বেগের এই আবহে টিকাকরণই এক মাত্র পথ।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের গোড়ায় ওমিক্রন প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ় ও টিকাকরণের উপরে জোর দিয়েছিলেন বাইডেন। ওমিক্রনের আতঙ্কে অযথা না-ঘাবড়ানোর কথা বলেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই স্ট্রেনটি ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন, ভেরিয়েন্ট অব প্যানিক নয়।’’ অর্থাৎ ভেরিয়েন্টটি উদ্বেগের কারণ বটে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সম্প্রতি জি-৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে আমেরিকা-সহ সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্যের পক্ষে করোনাভাইরাসের নতুন রূপকে ‘সব চেয়ে উদ্বেগের কারণ’ বলে বর্ণনা করা হয় ওই বৈঠকে।