জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
‘জনস্বার্থে শ্রীযুক্ত বাইডেন এখন সবচেয়ে বড় যে কাজটা করতে পারেন, তা হল, তিনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়বেন না— এ কথা ঘোষণা করে দেওয়া।’ ভোটের মুখে দাঁড়ানো অশীতিপর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে সম্পাদকীয়তে এই কথাই লিখেছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সংবাদপত্র।
গত বৃহস্পতিবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে দিন বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা— এ সব নিয়ে ট্রাম্প তাঁকে যথেচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিলেন। বিরোধী শিবির সেই বিতর্কসভায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যে বলার অভিযোগ তুললেও সংবাদপত্রটির মতে, ট্রাম্পের সামনে দাঁড়িয়েই বাইডেনের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাগজটির সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাইডেন বরং সরে দাঁড়ান। ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করুন অন্য কোনও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
তবে বাইডেন সরে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি অবশ্য মানছেন, তাঁর বয়স হয়েছে। একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘আমি জানি, আমি আর তরুণ নই। আগে যত সহজে হাঁটতে পারতাম, যত অনর্গল কথা বলতে পারতাম, যে ভাবে বিতর্কে অংশ নিতাম, এখন আর পারি না।’’ কিন্তু এর পরেই বাইডেন বলেছেন, ‘‘কাজটা যে করতে পারি, এটা মনপ্রাণ দিয়ে বিশ্বাস না করলে আমি আবার ভোটে লড়তামই না।’’ এই কথা শুনে সমর্থকদের ভিড় স্লোগান তোলে, ‘‘আরও চার বছর!’’