এখনও সংক্রমিত। তবু মাস্ক খুলে ফেললেন ট্রাম্প। এএফপি
তেরাত্তির হাসপাতালে কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ভক্তদের চমক দিয়ে আসি’ বলে রবিবার অল্প সময়ের জন্য হাসপাতাল থেকে বেরিয়েছিলেন। কাল মেরিন ওয়ান কপ্টারে চেপে হাসপাতাল-পর্ব মিটিয়ে হোয়াইট হাউসের লনে নামলেন সার্জিক্যাল মাস্ক-পরা প্রেসিডেন্ট।
লন পেরিয়ে গটগট করে সিঁড়ি দিয়ে উঠে ট্রাম্প দাঁড়ালেন দক্ষিণের বারান্দায়। এক বার সুটটা ঠিক করে নিয়েই খুলে ফেললেন মাস্ক। এলোমেলো ভাঁজ করে ঢুকিয়েও নিলেন ডান পকেটে। সরাসরি ক্যামেরায় চোখ রেখে জোড়া ‘থাম্স আপ’ দেখালেন ট্রাম্প। যার একটা ভক্তদের উদ্দেশে। কিন্তু দ্বিতীয় বুড়ো আঙুলটা কি করোনাকেই দেখালেন ট্রাম্প— পুরো সুস্থ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্টের নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে অনেকেই সেই প্রশ্নটা তুলে দিলেন।
এখনও সংক্রমণ রয়েছে ট্রাম্পের শরীরে। রেমডেসিভিয়ারের চূড়ান্ত ডোজ় বাকি। হিসেব মতো, অন্তত ১০ দিন আইসোলেশনে থাকার কথা তাঁর। কিন্তু হাসপাতাল ছাড়ার আগেই ট্রাম্প বলে বসলেন, ‘‘আমি আসছি। শীঘ্রই প্রচারে নামব।’’ হোয়াইট হাউসে ফিরে আবার বললেন, ‘‘একে (করোনা) মাথায় চড়তে দেবেন না। জানি ঝুঁকি আছে, তবু বলব, ভয় পাবেন না। আমি তো সামনে দাঁড়িয়েই নেতৃত্ব দিয়েছি। সংক্রমিত হয়েছি। এখন ভাল আছি।’’
আরও পড়ুন: স্নায়ুবিদ্যায় মনোনিবেশ দেখে অভিভূত হয়েছিলাম
কতটা ভাল? ভোটের আগে ট্রাম্প নিজেকে জোর গলায় ‘ফিট’ ব দাবি করলেও, সাম্প্রতিক ভিডিয়োতে কিন্তু তাঁর একটু হলেও শ্বাসের সমস্যা ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা ছাড়া হোয়াইট হাউসে প্রায় রোজ যে হেতু সংক্রমণের খবর মিলছে, এই অবস্থায় ট্রাম্পের ফেরাটা ঝুঁকির বলেই মনে করছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের টানেই হাসপাতাল-ছুট!
ফিরে আসায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেও জো বাইডেন ফের মাস্ক পরা নিয়ে সতর্ক করেছেন দেশবাসীকে। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক কারণেই সময়ের আগে ট্রাম্পকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সংক্রমিত, ‘কর্মফল’ বললেন আমলা
জনপ্রিয়তায় বাইডেনের থেকে পিছিয়ে থাকায়, ট্রাম্প নিজেও প্রচারে ফেরার জন্য ছটফট করছিলেন। ট্রাম্পকে ছুটি দেওয়া নিয়ে তাদের উপর চাপ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি ওয়াল্টার রিড মিলিটারি হাসপাতালের।