ছবি: রয়টার্স।
দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দেওয়ার সময় ‘রহস্যময় বস্তু’র সঙ্গে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হল আমেরিকার পরমাণু হামলাকারী ডুবোজাহাজ ইউএসএস কানেক্টিকাট-এর। গত শনিবারের এই ঘটনায় ওই রণতরীর বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতি জারি করে আমেরিকার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্রের নীচে কোনও কিছুর জোরালো সংঘর্ষ হয়েছে ইউএসএস কানেক্টিকাট-এর। ধাক্কার ফলে এর পরমাণু প্রপালসন প্ল্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও জাহাজের অন্য অংশে ক্ষতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কিসের সঙ্গে আঘাত লেগেছে এই রণতরীর তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
এমনিতেই দক্ষিণ চিন সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘দাদাগিরি’ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে একটা টানাপড়েন চলছে ড্রাগনের দেশের। ওই অঞ্চলে আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখে চিন। তাইওয়ানে চিনের সাম্প্রতিক আগ্রাসনী নীতিকে ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা। তা ছাড়া ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামে যে ভাবে চিন আধিপত্য বিস্তার করেছে তার বিরোধিতা করে ওই দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে জো বাইডেনের দেশ। ফলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তার মধ্যে সম্প্রতি কোয়াড শীর্ষ বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রিটেন এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনী নীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। তাতে সায় দিয়েছে আমেরিকাও। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার রণতরীর ‘অজানা বস্তু’র সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চিনের প্রতি সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলার কাজ করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।