ছবি পিটিআই।
ফের চিন এবং ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এল। এ বার ঘটনাস্থল অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। সরকারি এক সূত্রের দাবি, গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে চিনের শ’দুয়েক সেনা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতীয় সেনার বাধার মুখে পড়তেই মারমুখী হয়ে ওঠে চিনা সেনারা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষের পর দু’দেশেরই স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট হয়।
ওই সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় ভারতের দিকে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেউ হতাহত হননি। ভারতীয় সেনার বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ পিছু হঠতে বাধ্য হয় চিনা সেনা। মাসখানেক আগেই উত্তরাখণ্ড দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনার সেনারা। তখনও তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় সেনা।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে দু’দেশের সেনাদের। নিজ নিজ সীমানার মধ্যেই টহলদারি চালায় দু’দেশের সেনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিনা সেনারা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে মাঝেমধ্যেই। এর আগেও বেশ কয়েক বার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
গত ৩০ অগস্ট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বারাহোটি এলাকার পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল শতাধিক চিনা সেনা। কিছু ক্ষণ কাটিয়ে তার পর আবার তারা ফিরে আসেন। ওই এলাকায় ইন্দো-টিবেটান পুলিশ (আইটিবিপি) নজরদারি চালায়। প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে চিনা সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করল।
অরুণাচল নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, চিনের আগ্রাসনী ভূমিকায় সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তবে দু’পক্ষেরই আলোচনায় এই সমস্যাগুলি দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, চিনও এ বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানমূলক আচরণ করবে।