উদ্ধারের পর চিতাবাঘ। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রামের ‘মিনি জু’ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে নিখোঁজ হয়ে যায় একটি চিতাবাঘ। যার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহর এবং তার আশপাশের এলাকায়। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর খোঁজ পাওয়া গেল চিতাবাঘটির। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানার ভিতরেই জঙ্গলেই লুকিয়ে ছিল চিতাবাঘটি। তার পর ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় খাঁচাবন্দি করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম ‘মিনি জু’র বাসিন্দা দু’টি চিতাবাঘের মধ্যে একটি বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ খাঁচা থেকে পালিয়ে যায়। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘চিতাবাঘটির খাঁচার জালে মেরামতির কাজ চলছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মেরামতিতে ত্রুটির কারণে কিছুটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। সেখান থেকেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়।’’ এর পরই প্রশাসনের তরফে সাবধান করা হয় এলাকার বাসিন্দাদের। বিষয়টি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কও।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া চিতাবাঘ।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই চিতাবাঘটির খোঁজ শুরু করেন বন দফতরের আধিকারিকরা। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সজাগ ছিল স্থানীয় প্রশাসনও। সকাল হতেই গতি বাড়ে তল্লাশির। তার পর বনকর্মীরা চিড়িয়াখানার ভিতরে জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ পান চিতাবাঘটির। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা নিয়ে বনপ্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, ‘‘চিড়িয়াখানার ভিতরেই চিতাবাঘটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খোঁজ পাওয়ার পর গুলি করে ঘুম পাড়ানো হয় চিতাবাঘটিকে। তার পর তাকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। চিতাবাঘের খোঁজ পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঝাড়গ্রামবাসীও। ঘটনা নিয়ে ডিএফও শেখ ফরিদ বলেছেন, ‘‘হর্ষিনিকে উদ্ধার করা হয়েছে শুক্রবার দুপুর দু’টো নাগাদ। চিড়িয়াখানার মধ্যেই ছিল। এখন তার চিকিৎসা চলছে।’’