মানসিক রোগে আক্রান্ত অপরাধীদের যে হেফাজতে বন্দি রাখা হয়, অ্যান্ড্রেও সেখানেই বন্দি। প্রতীকী ছবি।
২০০৪ সালের ঘটনা। স্ত্রী এবং সন্তানকে খুন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৯ বছর বয়সি অ্যান্ড্রে থমাস। টেক্সাসের বাসিন্দা তিনি। খুন করার অপরাধে আদালতের তরফে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল অ্যান্ড্রেকে। কিন্তু বুধবার অ্যান্ড্রের আইনজীবী মরি লেভিন প্রশাসনের কাছে অ্যান্ড্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা করে দেওয়ারে দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে মরি জানিয়েছেন যে, টেক্সাসের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত মানসিক রোগে আক্রান্ত যত অপরাধী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অ্যান্ড্রে উল্লেখযোগ্য। মরি টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন যেন অ্যান্ড্রের শাস্তি কমিয়ে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অ্যান্ড্রের মামলার কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। মানসিক রোগে আক্রান্ত অপরাধীদের যে হেফাজতে বন্দি রাখা হয়, অ্যান্ড্রে সেখানেই বন্দি রয়েছেন।
মরি জানিয়েছেন, পরিবারকে খুন করার দু’দিন আগে অ্যান্ড্রে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। স্ত্রী, পুত্র এবং সৎ কন্যাকে খুন করার পর যখন অ্যান্ড্রেকে গ্রেফতার করা হয়, তার ঠিক ৫ দিন পরে নিজের ডান চোখ উপড়ে ফেলেন তিনি। এমনকি, মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হলে অপর চোখটিও উপড়ে ফেলেন অ্যান্ড্রে। অন্য চোখটি শুধু উপড়েই নেননি, তার পর সেটি গিলেও নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মরি।
মরি বৈঠকে বলেছেন, ‘‘অ্যান্ড্রের মাথার ঠিক নেই। বেশির ভাগ সময় দৃষ্টিভ্রমের শিকার হয়ে পড়েন তিনি। অ্যান্ড্রে নিজের মনের মতো করেই এক অন্য বাস্তব তৈরি করে ফেলেছেন।’’তবে, অন্যান্য আইনজীবীদের মন্তব্য, অ্যান্ড্রে কৃষ্ণাঙ্গ এবং তাঁর স্ত্রী লরা বোরেন শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। তাই জুরিতে উপস্থিত সকলেই অ্যান্ড্রেকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছেন।