আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আমেরিকায় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির ঐকমত্য হয়েছিল আগেই। এ বার ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব ভোটাভুটিতে গৃহীত হল হাউসে। এর ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেট-ব্যয় নির্ধারণের সময় কোভিড তহবিলে অব্যবহৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা যাবে।
চলতি বছরের গোড়াতেই আমেরিকা সরকারের ঋণের পরিমাণ ঠেকেছে ঋণগ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৩১.৪ লক্ষ কোটি ডলারে। ফলে তৈরি হয় অর্থনীতিগত সঙ্কট। আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলে রাজনৈতিক কারণে কর বাড়ানো অসম্ভব। অন্য দিকে, কোভিডের সময়ে অনুদান এবং পরবর্তী সময়ে প্রচুর উন্নয়নমূলক খাতে টাকা লগ্নি করে বাইডেন সরকারের উপর আর্থিক চাপ বেড়ছে। কিন্তু ব্যয় কমানোও সহজ নয়।
কর না বাড়িয়ে, ব্যয় না কমিয়ে ঋণসীমার নির্দেশিকা মানা যে কার্যত অসম্ভব, সে বিষয়ে সম্প্রতি একমতে হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন এবং তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাকার্থি। প্রসঙ্গত, আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেট তিন নির্দল সদস্যের সমর্থনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস রয়েছে বিরোধী রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছিল, আগামী ৫ জুনের ‘চরম সময়সীমার’ মধ্যে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা না বৃদ্ধি করলে তাদের আর আর্থিক দায় মেটানোর ক্ষমতা থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকারের ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করার জন্য ম্যাকার্থির সহায়তা চেয়েছিলেন বাইডেন। সে জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। আপাতত হাউসে ৩১৪-১১৭ ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হল বাইডেনের প্রস্তাব। আগামী দেড় বছর সরকারকে বাড়তি ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিল এ বার যাবে সেনেটে।