ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
কৃষ্ণাঙ্গ-হত্যার প্রতিবাদে জ্বলছে আমেরিকা। বিক্ষোভের নাম ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ হলেও অনেকের মতে, এ প্রশ্ন আসলে মার্কিনদের জীবনের মূল্য নিয়ে। করোনা-সংক্রমণে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জোড়া-ধাক্কায় বেসামাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বললেন, ‘‘২০ লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি রয়েছে— বিজ্ঞানীদের ছাড়পত্রের অপেক্ষায়।’’
শুধু তা-ই নয়, এ দিন করোনা-যুদ্ধে নিজেদের খারাপ ফলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ট্রাম্প ভারত ও চিনের সঙ্গেও তুলনা করে বসলেন সবেতে ‘প্রথম স্থানে’ থাকা আমেরিকার। ট্রাম্পের যুক্তি, ভারত ও চিনে ব্যাপক হারে করোনা-পরীক্ষা হচ্ছে না। সেটা হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে।
সকালের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প জানান, ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন সরবরাহ ও পরিবহণের জন্য তৈরি রয়েছে। তবে এই প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সবটাই তাই বিজ্ঞানীদের ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। কোন ভ্যাকসিন, কাদের তৈরি, কবে সকলে তা হাতে পাবেন, কিছুই স্পষ্ট করেননি প্রেসিডেন্ট। মার্কিন করোনা-টিমের প্রধান তথা এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে ফাউচি গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, আগামী বছরের গোড়াতেই ১০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে।
বন্ধু ট্রাম্পের মতো এ বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ছেড়ে বেরনোর হুমকি দিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও। সংস্থাটি সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার দেশগুলিকে, বিশেষ করে ব্রাজিল ও মেক্সিকোকে সতর্ক করে জানিয়েছিল, সংক্রমণের গতি কমার আগে লকডাউন তুললে বিপদে পড়তে হবে। তাতেই ক্ষুব্ধ বোলসোনারো এই কথা বলেন। দেশের আর্থিক অবস্থা ফেরাতে তিনি লকডাউন তোলার পক্ষে। বিশ্বে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। রাশিয়ায় আজ আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি।
লকডাউন শিথিল করায় বহু দেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে সংক্রমণের হার এখন সব চেয়ে বেশি। গত সাত দিনের পর্যবেক্ষণ— বিশ্বে এখন এক দিনে গড়ে ১ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে একাংশের মতে, করোনা-পরীক্ষা বাড়ছে বলে ছবিটা আরও ভয়াবহ।