যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার উপর একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলি। কিন্তু ভারতের অবস্থান এই নিষেধাজ্ঞাগুলিকে দুর্বল করবে বলে মনে করছে তারা।
আমেরিকার চর্চার কেন্দ্রে এখন ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একাধিক প্রস্তাব দিতে পারেন তিনি। তবে আলোচনায় বসার আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করল আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া। দু’দেশই কার্যত এক সুরে জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য ভারত যে আগ্রহ দেখিয়েছে, তা ‘চূড়ান্ত হতাশজনক’।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার উপর একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলি। কিন্তু ভারতের অবস্থান এই নিষেধাজ্ঞাগুলিকে দুর্বল করবে বলে মনে করছে তারা।
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো বলেন, ‘‘এখন সময় এসেছে সঠিক অবস্থান নেওয়ার। ইউক্রেনের জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এ সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়ানোর। এক ডজন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো।’’ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করেন। বাণিজ্য সচিব বলেন, রাশিয়ার প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে ভারতের আগ্রহ ‘চূড়ান্ত হতাশজনক’। ভারত-রাশিয়া আলোচনা নিয়ে একই মত প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ড্যান তেহান। তিনি বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে অবস্থান নেওয়া হচ্ছে, তা বজায় রাখতে এক সঙ্গে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’’
প্রসঙ্গত, ভারত প্রথম থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে মত প্রকাশ করে আসছে।
সম্প্রতি বেলজিয়াম ভিত্তিক ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর ব্যবহার করার থেকে রাশিয়ার সাতটি ব্যাঙ্ককে বিচ্ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকা। তাই বিকল্প হিসাবে ভারতীয় টাকা এবং রুবেল নির্ধারিত মূল্যে অর্থপ্রদান ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। এ জন্য আগামী সপ্তাহে মস্কোর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অধিকারিকরা ভারতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে এই বিষয়গুলি নিয়েই মূলত আলোচনা করবেন সের্গেই ল্যাভরভ। ১ এপ্রিল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।