মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও। ফাইল চিত্র।
চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করছে চিন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, চিনের এই নীতির জন্য শুধু তাদের দেশের মানুষের ক্ষতি হবে না। এর ফল ভুগবে গোটা বিশ্ব।
পম্পেও আরও বলেন, মুখে এক রকম কথা বলছে চিন, কিন্তু কাজে সেই কথার সঙ্গে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগর, হংকং বা ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের যে অত্যধিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা তাদের আগ্রাসী নীতিরই একটা দৃষ্টান্ত। চিনের এই নীতির কারণে যদি আমেরিকার স্বার্থে আঘাত লাগে, তা হলে তাঁরাও যে চুপ থাকবেন না, স্পষ্ট জানিয়েছেন পম্পেও।
তিনি বলেন, “গত ছ’মাস ধরেই যে চিনের এমন আচরণ সামনে এসেছে তেমনটা নয়, কয়েক দশক ধরে চিন এই আগ্রাসী নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।” করোনাভাইরাসের প্রসঙ্গ টেনে এনে চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, “এই অতিমারি নিয়ে তথ্য গোপন করেছে চিন। শুধু তাই নয়, হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে তারা।”
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারকে পাখির চোখ করতে শিল্পমহলকে বার্তা মোদীর
গত দু’সপ্তাহ ধরে লাদাখ ও উত্তর সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশের সেনারা। ওপারে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে চিন। মে-র গোড়া থেকেই উপত্যকার ওল্ডি রোডে সেনা সমাবেশ করছে চিন। মাস খানেকের মধ্যে দারবুক, শায়ক ও দৌলতবেগেও চিনা সেনার সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। ভারতীয় চৌকি ‘কেএম-১২০’-র আশপাশেও পিপলস লিবারেশন আর্মির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। পাল্টা সৈন্য সমাবেশ করেছে ভারতও।
যদিও পরে সেনা মোতায়েন নিয়ে কিছুটা নমনীয় অবস্থান নেয় চিন। সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিন, দু’দেশের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানায় চিনা বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়, এই সমস্যা আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সমাধানের জন্য দু’দেশই নিজেদের মধ্যে ‘নিরন্তর’ যোগাযোগ রেখে চলেছে। চিনের সঙ্গে সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখতে তারাও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।