জাকারবার্গ এবং ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার পর পরই প্ররোচনামূলক পোস্টের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। এ বার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও আরও বাড়াল মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা। জানিয়ে দেওয়া হল, ট্রাম্পের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হবে অন্ততপক্ষে আরও দু’সপ্তাহ।
জাকারবার্গ বলেন, “এই মুহূর্তে আমেরিকায় যা পরিস্থিতি চলছে তাতে ট্রাম্প আমাদের পরিষেবা ব্যবহার করলে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। সে জন্য তাঁর ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আরও দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তত ক্ষমতার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।”
বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাম্পের সমর্থনকারীদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যাপিটল বিল্ডিং। কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের । পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় চার জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী।
আরও পড়ুন: পাশে নেই নিজের মন্ত্রীরাও, মেয়াদের আগেই সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে
এই ঘটানার জন্য ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টকে দায়ী করা হয়। তার পরই ১২ ঘণ্টার জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেয়, এই ধরনের পোস্ট না মুছলে বা এই ধরনের পোস্ট করলে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ট্রাম্পের বহু পোস্ট সরিয়ে দেয় টুইটার। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাকারবার্গ জানিয়ে দিলেন, ট্রাম্পের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হল।
জাকারবার্গ বলেন, “সমর্থকদের না থামিয়ে তাঁদের উস্কাতে এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা শুধু আমেরিকানদের কাছে
নয়, গোটা বিশ্বে নিন্দিত হয়েছে। আমরা এই পোস্টগুলো সরিয়ে দিয়েছি, কারণ আমাদের মনে হয়েছে পরবর্তীকালেও এই পোস্টগুলো হিংসার ঘটনা ঘটাতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ট্রাম্প আমাদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। আমাদের সংস্থার নিয়ম মেনে তাঁকে পোস্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে যে ধরনের পোস্ট করেছেন তিনি, সেগুলো আমাদের নীতির বিরুদ্ধে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক পোস্ট করাতেই অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”