এই গাড়িতেই হয়েছিল হামলা ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
কাবুলে আমেরিকার ড্রোন হামলার পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, সেই হামলায় একই পরিবারের সাত শিশু-সহ মোট ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সেই দাবি অবশেষে মেনে নিল পেন্টাগন। এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে আমেরিকা।
এই প্রসঙ্গে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওই হামলা একটি দুঃখজনক ঘটনা। ভুল করে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’ তিনি আরও জানান, হামলায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করছে পেন্টাগন। অন্য দিকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ‘‘ড্রোন হামলায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গভীর সহানুভূতি জানাই। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এই ভুল থেকে ভবিষ্যতে আমরা শিক্ষা নেব।’’
কিন্তু কেন এত বড় ভুল হল আমেরিকার? সেই প্রসঙ্গে কেনেথ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর ছিল সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে জঙ্গিরা যাচ্ছে। আমরা গাড়ির গতিবিধি লক্ষ্য করে হামলা চালাই। কিন্তু পরে তদন্ত করতে গিয়ে বুঝতে পারছি আমাদের কাছে ভুল খবর ছিল।’’
গত ২৯ অগস্ট সন্ধ্যায় কাবুলে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। তারা দাবি করে ওই গাড়িতে করে নাশকতার জন্য যাচ্ছিল আইসিস জঙ্গিরা। কিন্তু এই হামলার পরেই কাবুলের বাসিন্দা জেমারি আহমদির মেয়ে সামিয়া আহমদি দাবি করেন এই হামলায় তাঁদের পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই দাবিই এত দিনে মানল আমেরিকা।