প্রতীকী ছবি
করোনা, হংকং-সহ নানা বিষয় নিয়ে চিন এবং আমেরিকার মধ্যে টানাপড়েন লেগেই ছিল। এ বার তাতে নতুন মাত্রা যোগ হল। আমেরিকার অভিযোগ, কোভিড ১৯-এর ওষুধ এবং টিকা সংক্রান্ত নানা গবেষণার তথ্য হাতিয়ে নিতে সাইবার অপরাধীদের মদত দিচ্ছে চিন। এ নিয়ে দুই চিনা হ্যাকারকে চিহ্নিতও করেছে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, তথ্য হাতানোর জন্য ওই দুই হ্যাকার আমেরিকার একাধিক ওষুধ সংস্থার ওয়েবসাইটে হানা দিয়েছিল।
আমেরিকার বিচার বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে ম্যাসাচুসেটস বায়োটেক নামে একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে হানা দিয়েছিল হ্যাকাররা। তার কয়েক সপ্তাহ পরেই একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয় মেরিল্যান্ড নামে অন্য আর একটি সংস্থাও। দুটি সংস্থাই করোনার ওষুধ বা টিকা তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে। কারা হানা দিয়েছিল ওই সংস্থা দুটির ওয়েবসাইটে? আমেরিকার দাবি, দুই হ্যাকার তথ্য চুরি করতে হানা দিয়েছিল। তারা চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (এমএসএস)-এর আধিকারিকদের একাংশের থেকে মদত পায় বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।
ওই হ্যাকারদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকার দাবি, লি শিয়াওইয়ু এবং ডং ঝিয়াঝি নামে দুই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চিনের মাটিতে বসেই সাইবার হানা চালিয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম নয়, ২০০৯ সাল থেকেই ওই দুই চিনা নাগরিক নানা সংস্থায় সাইবার হানা চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ডলার মূল্যের তথ্যও হাতিয়ে নিয়েছে তারা। শুধু আমেরিকাই নয়, তাদের নিশানায় ছিল অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং ইংল্যান্ডের মতো বহু দেশের একাধিক সংস্থা। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা একটি ব্রিটিশ সংস্থা, স্পেনের এক ডিফেন্স কনট্র্যাক্টর এবং সৌরশক্তি নিয়ে কাজ করছে এমন এক অস্ট্রেলীয় সংস্থার ওয়েবসাইটে হানা দেয় ওই হ্যাকাররা।
আরও পড়ুন: প্রতিষেধকে সাফল্যের দাবি এ বার রাশিয়ার
আমেরিকা জানাচ্ছে, ওই সব হ্যাকাররা সাধারণত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হ্যাকিং করে তথ্য চুরি করে। পরে তারা বিভিন্ন সংস্থার থেকে মুক্তিপণও আদায় করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তাদের ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করছে চিন সরকার। আমেরিকার অভিযোগ, ওই হ্যাকারদের কর্মকাণ্ডে ‘নীরব সম্মতি’ রয়েছে বেজিংয়ের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমার্সের মতে, রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়ার ওই ক্লাবে যোগ দিয়েছে চিনও। তাঁর অভিযোগ, সাইবার অপরাধীদের মদত দিচ্ছে বেজিং। যদিও আমেরিকার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ চালানোর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চিন।
আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি করিয়েছি আমরাই, তার পর ভারত, বললেন ট্রাম্প