হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সাংঘাতিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার তরফে স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে আসছেন, তাঁদের রক্তপরীক্ষা করানোর বন্দোবস্ত করা হোক। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘ভারত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তা করতেই পারে। তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে আমরাও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা সময়ে তো যাতায়াত করতে হলে কোভিড পরীক্ষাও করতে হত। এখন আর হয় না।’’
পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রী হাছান। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ঢাকা-সহ যে সব জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেগুলি সবই ঘন জনবসতিপূর্ণ। কী ভাবে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যায় সে ব্যাপারে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
এই রাজ্যেও মশাবাহিত রোগটি ক্রমশ উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করছেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে আসছে। যাঁদের ধরা পড়েছে, সব বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। প্রতিবেশী দেশ। কী করব?”
পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গ আক্রান্তের সংখ্যা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। কলকাতা-সন্নিহিত এলাকাগুলিতেও বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। পরিসংখ্যান বলছে, মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশই গ্রামবাংলার। এই রাজ্য যেমন বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন তেমন হাসিনার মন্ত্রীও দাবি করলেন, তাঁরাও প্রাদুর্ভাব রুখতে আন্তরিকভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।