ছবি: রয়টার্স।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার পিছনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বার্তার মাধ্যমে ইন্ধনের অভিযোগ ছিল। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়লেও প্রশাসনিক ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি জোরালো হচ্ছে ক্রমেই। ইমপিচমেন্টের গুঞ্জনের আগুনে এ বার ঘৃতাহূতি পড়ল সর্বশেষ এক প্রস্তাবে। ট্রাম্পকে ‘ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিয়ে তাঁর কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হল।
ট্রাম্পকে ‘ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তিনি পরমাণু হামলাও চালাতে পারেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে ‘ঠেকাতে’ আমেরিকার শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করারও উদ্যোগ নিয়েছেন পেলোসি।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার পেলোসির কথায়, ‘‘কার্যকালের শেষ পর্যায়ে ভারসাম্যহীন প্রেসিডেন্ট দেশে যাতে সামরিক সংঘাত শুরু না করতে পারেন অথবা পারমানবিক অস্ত্রভাণ্ডারের লঞ্চকোড তাঁর হাতে না আসে কিংবা পারমানবিক হামলা শুরুর নির্দেশ দিতে না পারেন, সে বিষয়ে সমস্ত সতর্কতা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি।’’
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার, ‘মুখ বন্ধের চেষ্টা’র অভিযোগ ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: অন্য দেশের পতাকাও ছিল ক্যাপিটলে, দাবি ভারতের পতাকাবাহীর
ট্রাম্পকে ‘রুখতে’ কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা উপলব্ধ রয়েছে, সে বিষয়ে জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান মার্ক মিলির সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন পেলোসি। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতাদের ইতিমধ্যেই একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। ওই চিঠিতে পেলোসি জানিয়েছেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বেচ্ছায় সরে না গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত তাঁরা। এমনকি, বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু না করলে সেই প্রক্রিয়া তিনিই শুরু করবেন বলেও জানান পেলোসি।