Bangladesh Crisis

বাংলাদেশের আরও এক কারাগারে বিক্ষোভ, গুলি চালিয়ে বন্দিদের রুখলেন রক্ষীরা, আহত ১৬

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত কয়েক দিন ধরে অরাজকতা চলছে বাংলাদেশে। জেলে জেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বন্দিরা। মঙ্গলবার কাশিমপুরের কারাগার থেকে দেওয়াল টপকে ২০০-র বেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ২০:১৫
Share:

বাংলাদেশের গাজিপুর জেলা কারাগার। —ফাইল চিত্র।

কাশিমপুর কারাগারের পর বাংলাদেশের আরও একটি জেলে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজিপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন্দিরা। তাঁদের সামাল দিতে হিমশিম খান কারা কর্তৃপক্ষ। চালাতে হয় গুলিও। এই ঘটনায় জেলের মধ্যেই ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কারারক্ষীরাও।

Advertisement

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত কয়েক দিন ধরে অরাজকতা চলছে বাংলাদেশে। জেলে জেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বন্দিরা। মঙ্গলবার কাশিমপুরের কারাগার থেকে দেওয়াল টপকে ২০০-র বেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে একাধিক জঙ্গিও। এই পরিস্থতিতে জেলে বিক্ষোভের খবর হাওয়ায় হাওয়ায় ছড়াচ্ছে। দেশের অন্যান্য জেলে বিক্ষোভের কথা শুনে গাজিপুরের জেলেও বৃহস্পতিবার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন্দিরা।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে গাজীপুর জেলা কারা হাসপাতালের চিকিৎসক মাকসুদা জানিয়েছেন, কারাগারে বন্দিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁদের আটকাতে রক্ষীরা গুলি চালান। এতে ১৬ জন আহত হয়েছেন। কেউ পায়ে, কেউ মাথায়, কেউ চোখে চোট পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। আহতদের মধ্যে তিন জন রক্ষীও রয়েছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগারে বিক্ষোভ এবং বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওই জেলের সুপার সুব্রত কুমার বালাকে সরিয়ে নতুন সুপারকে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন সুপার দায়িত্ব নিয়েছেন। কাশিমপুরের জেলে মঙ্গলবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামাতে হয়েছিল। বন্দিরা মই দিয়ে দেওয়াল টপকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ আবার দেওয়াল ভেঙে পালান। রক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি-সহ ছ’জনের মৃত্যু হয়। সেনা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বন্দিদের ফেরানো যায়নি। গাজিপুরের জেলেও অনুরূপ ঘটনাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার। তবে ওই জেল থেকে কোনও বন্দি পালাতে পারেননি বলে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement