Russia-Ukraine War

আমেরিকানদের দ্রুত রাশিয়া ছাড়তে বলল বাইডেন প্রশাসন! নেপথ্যে কি বড় কোনও কারণ?

রাশিয়ায় অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই রাশিয়ায় আমেরিকার নাগরিকদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে বসবাসের জন্য নিরাপদ মনে করছে না তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:২১
Share:

আমেরিকানদের দ্রুত রাশিয়া ছাড়তে বলল বাইডেন প্রশাসন! নেপথ্যে কোন কারণ? ফাইল চিত্র।

আমেরিকার অধিবাসীদের দ্রুত রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দিল বাইডেন প্রশাসন। এর কারণ হিসাবে মূলত রাশিয়ার ‘প্রতিহিংসা’কে দায়ী করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া যখন আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়াচ্ছে, তখন পেন্টাগনের সিদ্ধান্তে অন্য ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ।

Advertisement

রাশিয়ায় অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই রাশিয়ায় আমেরিকার নাগরিকদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে পড়াশোনা কিংবা কাজের সন্ধানে থাকা মানুষকে দ্রুত আমেরিকায় ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দূতাবাসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এ-ও বলা হয়েছে যে, প্রয়োজন থাকলেও আমেরিকার কেউ যেন রাশিয়ায় না যান।

Advertisement

এর আগেও অবশ্য এ বিষয়ে নিজের দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছিল আমেরিকার সরকার। গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আংশিক জমায়েতের ডাক দেওয়ার পরেই নাগরিকদের রাশিয়া যেতে নিষেধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকার দূতাবাসের তরফে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলা হচ্ছে, বিনা কারণে আমেরিকার নাগরিকদের গ্রেফতার করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই তাদের গোপন জায়গায় আটকে রাখা হচ্ছে। ২০২১ সালে ইউক্রেনের ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিরোধের জেরেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং রসদ জুগিয়ে যাবতীয় সাহায্য করে এসেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ। রাশিয়াকে ‘যুদ্ধবাজ’ হিসাবে অভিযুক্ত করে সে দেশের তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। রাশিয়া আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দেগে পাল্টা জানিয়েছে, আমেরিকার মদতের কারণেই যুদ্ধ প্রলম্বিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ করার জন্যই দেশের অধিবাসীদের আমেরিকা আগাম সতর্ক করতে চাইছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement