ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে এলাকা।
কয়েকদিন পরেই রাশিয়া থেকে আসা জ্বালানিতে টান পড়তে চলেছে। তাই তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় শুরু করল ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স, জার্মানির মতো ইউরোপের বহু দেশ। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতিবাদে ইউরোপের এই দেশগুলির রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তে টিকে থাকতেই এই আগাম ব্যবস্থা।
জার্মানি ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত সরকারি ভবনের আলো নিভিয়ে রাখতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই চলছে এই প্রক্রিয়া। এর পাশাপাশি শহরের অবসর যাপনের স্থানগুলিকে ঠাণ্ডায় উষ্ণ রাখার যে প্রক্রিয়া, তা-ও বন্ধ রাখা হয়েছে জার্মানিতে। জার্মানির লক্ষ্য আগামী মার্চের মধ্যে তারা ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় করবে। রাশিয়া থেকে ইতিমধ্যেই জ্বালানি নেওয়া ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে জার্মানি-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে আগামী বছর যদি তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে অনেকটাই শক্তি অতিরিক্ত থাকবে জার্মানির হাতে।
একই ধরনের পদক্ষেপ করেছে, স্পেন, ইতালি, গ্রিস এবং ফ্রান্সও। ফ্রান্সে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকান বা ভবনগুলির প্রবেশ দ্বার খুলে রাখার উপর জারি করা হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। কারণ এতে বিদ্যুতের অপচয় হয় বেশি। বিদ্যুৎ বাঁচাতে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ আবার ‘‘টাই পরবেন না।’’ তিনি নিজেও টাই বর্জন করেছেন। তাতে শরীরে হাওয়া লাগবে বেশি। এসির প্রয়োজন পড়বে কম। অবশ্য তিনি নিজে এ কথা বলেননি। তবে তাঁর এই পরামর্শের অন্য কোনও ব্যখ্যা করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ইতালিতে সরকারি ভবনগুলির স্নানঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গরম জলের সুবিধা। গ্রিসে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়ানো যাবে না বাতানুকূল যন্ত্রের তাপমাত্রা। আপাতত এই সব নির্দেশেই সরকারের অনুরোধে স্বেচ্ছায় পালন করছেন সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনের ধারণা, বিদ্যুতের দাম বাড়লে আপনা আপনিই কমবে বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার লাগাম টানা যাবে খরচে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার থেকে জ্বালানির জন্য নেওয়া গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হলেও আগামী বেশ কিছুদিন বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে পারবে ইওরোপ।