যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। ছবি: রয়টার্স।
গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে সিরিয়ায় ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ! মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুযুধান পক্ষগুলির কাছে অস্ত্র সংবরণের আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অংশ। প্রসঙ্গত, তিন দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখলের পরে সোমবার থেকে আর এক জনপদ হামা দখলের জন্য অগ্রসর হচ্ছে দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী এবং তাদের সাহায্যকারী রুশ বায়ুসেনা ও ইরানের মিলিশিয়া মরিয়া প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই আবহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেন, ‘‘সিরিয়ায় যুদ্ধ যে ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আমরা শঙ্কিত।’’ অন্য দিকে, যুযুধান দু’পক্ষের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকটি নজরে রাখার আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, ‘‘অসামরিক নাগরিক এবং পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব পক্ষকে সক্রিয় হতে হবে। অসামরিক নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ১৪ বছর ধরে সিরিয়ার মানুষ সংঘাত সহ্য করে যাচ্ছেন। আর রক্তপাত নয়, এখন এর একটি রাজনৈতিক সমাধান তাঁদের প্রাপ্য।’’ বুধবার থেকে সেখানে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৪৫৭ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ‘সিরিয়ান অবজ়ারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’।