বিদায়বেলার কান্না। ছবি: টুইটার
যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে একরত্তি মেয়ে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘দেশসেবা’ করতে বাবাকে থেকে যেতে হবে দেশেই। আবার কবে দেখা হবে জানা নেই। হয়তো কখনও আর দেখাই হবে না। সব কিছুর মধ্যেই এক অপার অনিশ্চয়তা। তাই বিদায়বেলায় মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন বাবা।
নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বসে আছেন ইউক্রেনের ওই যুবক। এর পরই আবেগ আর মন খারাপ চেপে রাখতে না পেরে কেঁদে ওঠেন ওই ব্যক্তি। বাবাকে কাঁদতে দেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে মেয়েও। তার পর স্ত্রী এবং মেয়ে দু’জনকে একসঙ্গে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। বিদায়বেলায় বিষণ্ণতা এবং কান্নার দেখা মিলল বাবা-মেয়ের মুখে-চোখে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি নতুন নির্দেশিকায় ঘোষণা জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষরা কোনওমতেই ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন না। তবে তাঁদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলা হবে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ইউক্রেন সরকার।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত দ্বিতীয় দিনে পৌঁছল। বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রাশিয়ার আক্রমণের পর এই সঙ্ঘাত শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনের সঙ্ঘাতের পর ইউক্রেনের মোট ৫৭ জন নিহত এবং ১৬৯ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো।