মাদার অব এল বম্বস রয়েছে আমেরিকার কাছে। ২০১৭-তে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে এই বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। সেই বোমার অভিঘাতে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি আমেরিকা।
সামরিক অভিযান, সাইবার হামলার পর এ বার কি তা হলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘ফাদার অব অল বম্বস’ ব্যবহারের ছক কষছে রাশিয়া? এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘ফাদার অব অল বম্বস’ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
‘ফাদার অব অল বম্বস’ বা এফওএবি কী?
এটি বিশাল শক্তিশালী ৪৪ টনের টিএনটি বোমা। যা অভিঘাতের পরিসর হতে পারে ৩০০ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে। এটি অতি শক্তিধর একটি থার্মোব্যারিক বোমা।
বিমান থেকে এই এফওএবি বোমা ফেলা হয় হামলাস্থলে। মাঝ আকাশেই এটিকে ডিটোনেট করা হয়। এই বোমা ফাটার পর যে শকওয়েভ এবং তাপমাত্রার সৃষ্টি হয় তার অভিঘাত এতটাই বেশি যে ক্ষতির পরিমাণ কল্পনাও করা যায় না। ২০০৭-এ এই বোমা তৈরি করে রাশিয়া। আমেরিকার ‘মাদার অব অল বম্বস’ বা এমওএবি-র থেকে চার গুণ শক্তিশালী এফওএবি।
মাদার অব এল বম্বস রয়েছে আমেরিকার কাছে। ২০১৭-তে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে এই বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। সেই বোমার অভিঘাতে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি আমেরিকা।
চিনের হাতেও রয়েছে মাদার অব অল বম্বস। আমেরিকাকে টেক্কা দিতেই এই বোমা তৈরি করেছে চিন। ২০১৯-এ সেই বোমার পরীক্ষাও করে তারা।