পুলিশ তাঁদের উপর তিনবার লঙ্কা এবং গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। ছবি: টুইটার
ইউক্রেনের সীমান্তে অত্যাচার চালাচ্ছে ইউক্রেনের পুলিশ। এমনকি পিপার স্প্রে ছিটিয়েও ইউক্রেনত্যাগী ভারতীয়দের উপর পুলিশি অত্যাচার চলছে বলে জানালেন এক ভারতীয় পড়ুয়া।
মালবিকা নামে এক ভারতীয় পড়ুয়া দাবি করেন যে, তিনি ইউক্রেন-স্লোভাকিয়া সীমান্ত চেক পোস্টের কাছে অন্য ইউক্রেনত্যাগীদের সঙ্গে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে খাবার এবং জল ছাড়া আটকা পড়েন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, চেক পোস্টের পুলিশ তাঁদের উপর তিনবার লঙ্কা এবং গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এর পর অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যান বলেও তাঁর অভিযোগ। অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানুষ সাহায্যের জন্য স্লোভাকিয়ান দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। এমনকি কিয়েভ দূতাবাসেও তাঁরা ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হেল্পলাইনগুলির কোনওটিই কাজ করেনি বলেও তাঁর অভিযোগ।
এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের পুলিশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের লাঠিপেটা করছে। এমনকি মহিলাদের উপরেও নির্বিচারে লাঠির আঘাত করছে পুলিশ। পাশাপাশি বন্দুক চালানোর আওয়াজ এবং চিৎকারের আওয়াজও ভেসে উঠেছে এই ভিডিয়োতে। এমনকি নিজেদের সুটকেস ছেড়েও দৌড়ে পালাতে দেখা যায় কিছু মানুষকে।
এদিকে, ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা এই অভিযোগ কার্যতই অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন ‘‘সবাইকে একটি লাইনে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেরাই লাইন ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন।’’ এর ফলেই এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বলেও মন্তব্য ইগরের।