এই মুহূর্তে ইউক্রেনে ১৭০০ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ছবি: রয়টার্স
আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। তার পরই ফুরোবে ইউক্রেনের সমস্ত হাসপাতালগুলির অক্সিজেনের সরবরাহ। এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এর ফলে হাসপাতালগুলিতে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাজারো মানুষের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আছে বলেও বার্তা দিল হু।
হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস ঘাব্রেয়েসাস এবং ইউরোপের আঞ্চলিক ডিরেক্টর হান্স ক্লুগে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানান, ‘‘ইউক্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বেশির ভাগ হাসপাতালেই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মজুত থাকা অক্সিজেন ফুরোবে। কিছু হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন ফুরিয়েছে। এর ফলে ভর্তি হাজারো মানুষের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আছে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক মাস ধরেই ইউক্রেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তার মধ্যে অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধি তো রয়েইছে। আর এই পরিস্থতিতে রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে মেডিক্যাল অক্সিজেনের ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে রাশিয়ার মুহুর্মুহু আঘাতে ইউক্রেন বিপর্যস্ত। যুদ্ধের কারণে পথে নামতে পারছে না প্লান্ট থেকে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী ট্রাকগুলিও। ফলেই মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের সমস্ত পথ বন্ধ।
এই মুহূর্তে ইউক্রেনে ১৭০০ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ ছাড়াও অন্যান্য মারণরোগে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে পড়ে আহত হওয়া সেনাসদস্যরাও হাসপাতালে ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদাও আগের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
হু জানিয়েছে যে, তারা ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে প্রতিবেশী পোলান্ড দেশের মাধ্যমে বেশিমাত্রায় মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের উপায় খুঁজছে।
এ ছাড়াও বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের ঘাটতির কারণে মানুষ ব্যাপক ভাবে সমস্যার মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়ে চলে গেছেন।