হাতাহাতি রাশিয়া আর ইউক্রেনের! ছবি: সংগৃহীত।
পনেরো মাসের লড়াইয়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব এ বার পড়ল দুই দেশের আধিকারিকদের উপরেও। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনে ইউক্রেনের এক সাংসদের হাত থেকে পতাকা কেড়ে নেন রাশিয়ার উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক। থেমে থাকেননি ওই সাংসদও। তিনি দৌড়ে এসে ওই রুশ আধিকারিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে ঠেলে দিয়ে মুখে ঘুষি মারেন। দু’জনকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে আসেন সম্মেলনে উপস্থিত অন্য পদাধিকারীরা। এই ঘটনার ভিডিয়োটি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও কোনও সংবাদ সংস্থার তরফে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ‘কৃষ্ণসাগর ইকোনমিক কমিউনিটির’ ৬১তম অধিবেশন বসেছে। সদস্য দেশ হিসাবে ওই অধিবেশনেই উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের সাংসদ ওলেকসান্দ্র মারিকোভস্কি তাঁর দেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় হঠাৎই তাঁর হাত থেকে পতাকা ছিনিয়ে নেন ওই রুশ আধিকারিক। পরে ওই আধিকারিকের উপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ে পতাকা পুনরুদ্ধার করেন ইউক্রেনের ওই সাংসদ। গোটা ঘটনার ভিডিয়োটি নিজের ফেসবুক পেজে দিয়ে ওই সাংসদ লেখেন, “আমাদের পতাকাকে ছেড়ে দাও।”
গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে। রুশ হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বহু শহর। তুলনায় রাশিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত কম। এই আবহেই গত মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানায় রাশিয়া। তবে একই সঙ্গে রুশ প্রশাসন জানায়, অক্ষত রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। তাদের তরফে বলা হয় নতুন হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্যই এ সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে রাশিয়া।