(বাঁ দিক থেকে) দেবেন্দ্র ফডণবীস, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই জট কেটে গেলেও দফতর বণ্টন নিয়ে ‘মহাজুটি’র তিন শরিকের মধ্যে দর কষাকষি চলছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতেই রাখলেন। একনাথ গোষ্ঠীর জন্য ছাড়লেন তিন দফতর। অন্য দিকে, অজিত পওয়ারকে দেওয়া হল অর্থ দফতরের দায়িত্ব।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ‘মহাজুটি’র দাপুটে জয়ের পর গত ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবসেনা (শিন্ডে) প্রধান একনাথ এবং এনসিপি (অজিত) প্রধান অজিত। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দু’সপ্তাহের বেশি সময় পরে মন্ত্রিসভায় দফতর বণ্টন হল। শনিবার মন্ত্রিসভার ঘোষণা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে। দেখা গেল, মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস স্বরাষ্ট্র ছাড়াও শক্তি এবং আইন দফতর নিজের হাতে রেখেছেন। একনাথ পেলেন নগরোন্নয়ন, আবাসন এবং পূর্ত দফতর। অজিতকে ছাড়া হয়েছে অর্থ দফতর।
দফতর বণ্টন নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে টানাপড়েন চলছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরাও। ফডণবীসের নেত়ৃত্বাধীন সরকারকে কটাক্ষ করে উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য দাবি করেন, দফতর বণ্টন এক রসিকতায় পরিণত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সকল মন্ত্রী বাংলো এবং গাড়ি পেয়েছেন, কিন্তু কোনও দায়িত্ব পাননি। কেউ মানুষের সেবা করতে চান না’’
গত ১৫ নভেম্বর মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা মুন্ডে, গিরীশ মহাজন, চন্দ্রকান্ত পাটিল, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল প্রমুখেরা। বিজেপির তরফে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিন জন। শিবসেনার দু’জন এবং এনসিপি-র এক জন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শিবসেনা থেকে মন্ত্রিসভায় যাঁরা ঠাঁই পেলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গুলাবরাও পাটিল, সঞ্জয় রাঠৌড়, উদয় সামন্ত, সঞ্জয় শিরসত। এনসিপির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাসান মুসরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, অদিতি ততকারে, নরহরি জিরওয়াল। মোট ৩৯ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনই বিজেপি বিধায়ক। ফডণবীস মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে শিবসেনা (শিন্ডে)-র ১১ জন এবং এনসিপি (অজিত)-র ন’জন বিধায়কের।