সঞ্চালক অ্যান্টন ক্র্যাসোভস্কি। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, রুশদের যারা দখলদার হিসেবে দেখছে, ইউক্রেনের সেই সব বাচ্চাকে খরস্রোতা নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। এই মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন সঞ্চালক অ্যান্টন ক্র্যাসোভস্কি। কিন্তু ক্ষমা মেলেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্র্যাসোভস্কির বিরুদ্ধে। এ বারে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল ইউক্রেনের আদালত। কোর্ট জানিয়েছে তার দু’টি অপরাধ— ইউক্রেনে গণহত্যার প্ররোচনা এবং সে দেশের সংবিধান ফেলে দেওয়ার দাবি।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক বার প্রকাশ্যেই রাশিয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন ক্র্যাসোভস্কি। ইউক্রেনের সব মানুষকে মেরে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ইউক্রেনের সিকিয়োরিটি সার্ভিস এসবিইউ আজ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘বর্তমানে এই অপরাধী বিদেশে লুকিয়ে রয়েছে। এসবিইউ-এর কর্মীরা অবশ্য তার গতিবিধি সবই জানেন। অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য যা যা করা যায়, তা করছে এসবিইউ।’’
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে আক্রমণের গতি আরও বাড়াবে মস্কো। এ অবস্থায় কিভের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ইউরোপের সব দেশ। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আজ বলেন, ‘‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকতে পেরেআমেরিকা গর্বিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভ্লাদিমির পুতিন যদি আমাদের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেন, তা হলে ভুল করছেন। ইউক্রেনীয়দের আরও পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ওরা মাথা তুলে দাঁড়াবে।’’ রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ নিয়েও সরব হন হ্যারিস। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আইনের মাপকাঠি সম্পর্কে ষথেষ্ট অবগত। ওরা মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, তা স্পষ্ট। সে নিয়ে সন্দেহ নেই।’’
ও দিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েনের সঙ্গে আজ দেখা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তাঁদের বৈঠকের অন্যতম মূল বিষয়বস্তু ছিল ইউক্রেনের যুদ্ধ। সুনক বলেন, ‘‘এখনই সময়। ইউক্রেনকে যে সামরিক সাহায্য করা হয়েছে এত দিন, এ বারে তা দ্বিগুণ করা হবে।’’ হ্যারিসের সুরেই তিনি বলেন, ‘‘রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ভাবছেন, এই স্নায়ুর চাপ আমরা নিতে পারব না। তাঁকে ভুল প্রমাণ করে দেবে ব্রিটেন।’’ সেই সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দিয়েছেন সুনক। তিনি চান, ‘‘যুদ্ধ নামক বিষয়টার বিরুদ্ধেই জয় আসুক।’’