Boris Johnson

Boris Johnson: ইস্তফা দিতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন: রিপোর্ট

মন্ত্রিসভার একের পর এক সদস্যের ইস্তফার প্রেক্ষিতে বরিসের উপর চাপ বাড়ছিল। তার পরই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন, খবর ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ১৪:২৯
Share:

ফাইল ছবি।

ইস্তফা দিতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে মন্ত্রিসভার একের পর এক রথী-মহারথী ইস্তফা দিয়েছেন, তাতে বরিসের সামনেও পদত্যাগ করা ছাড়া ভিন্ন কোনও উপায় ছিল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ব্লুমবার্গ সূত্রে দাবি, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ছ’টায় প্রকাশ্য বক্তৃতা করে ইস্তফা ঘোষণা করতে পারেন বরিস। সে জন্য ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পোডিয়াম তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

বিবিসি-র রাজনৈতিক সম্পাদক ক্রিস ম্যাসনের দাবি, বরিস সরে যেতে রাজি হয়েছেন। তবে নতুন টোরি নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক নেতা হিসেবে বরিসই কাজ চালিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই বরিস মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে সরে গিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ইস্তফা দেন। তার পর প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এর ভোটের ফল দেখিয়ে বলেছিলেন, মানুষ তাঁকেই নেতা নির্বাচিত করেছে। তাই সরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ঘটনাচক্রে তার পরেই একে একে ইস্তফা দেন আরও পাঁচ মন্ত্রী। তার মধ্যে এক জন বরিস-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

Advertisement

এক দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার সাত জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পর সুর বদলে যায় বরিসের। তিনি ইস্তফা প্রসঙ্গে ভাবতে শুরু করেছেন বলে খবর আসে ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে। কিন্তু তা তখনই ঘোষণা করা হয়নি।

এ দিকে ঋষির পদত্যাগের পর ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হন নাধিম জাহাউয়ি। তিনিও বরিসকে সরে যেতে আবেদন করেন। ব্রিটেনের দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ানে’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘নতুন চ্যান্সেলর নাধিন জাহাউয়ি সরে যাওয়ার আর্জি জানিয়ে বরিসকে বলেছেন, ঠিক কাজটি করুন এবং এখন সরে যান।’ এর পরও ইস্তফার ঘোষণা না আসায় হতাশ নাধিম বলেন, তিনি অত্যন্ত ব্যথিত, যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপদেশ গ্রহণ করছেন না। এর পরই ইস্তফা দেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডোনেলান। তিনি বলেন, ‌‘‘বরিসকে ইস্তফা দেওয়াতে এর চেয়ে উপযুক্ত পথ আর খুঁজে পেলাম না।’’

তার পরই বিবিসি-র রাজনৈতিক সম্পাদক দাবি করেন, সরে যেতে সম্মত হয়েছেন বরিস। তবে নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই কাজ চালিয়ে যেতে চান। যদিও খবর পাওয়া যাচ্ছে, টোরিদের তাতে সম্মতি নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement