ঘরের ভিতরে রাখা ফ্রিজ থেকে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।
দু’বছর ধরে এক বৃদ্ধের দেহ ফ্রিজে রেখে তাঁর নামে পেনশন তোলার অভিযোগ উঠল তাঁরই এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ব্রিটেনের বার্মিংহামের।
দ্য মেট্রো-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্মিংহামে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন জন ওয়েনরাইট (৭১) নামে ওই বৃদ্ধ এবং তাঁর সঙ্গী ড্যামিয়ন জনসন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয় ওয়েনরাইটের। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীদের কাছে পুরোপুরি গোপন করে গিয়েছিলেন জনসন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওয়েনরাইট মোটা অঙ্কের পেনশন পেতেন, সেটি জানতেন জনসন। ওয়েনরাইটের মৃত্যুর পর সেই টাকা হাতানোর জন্য পরিকল্পনা করেন তিনি। বৃদ্ধের ঘর থেকে ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি, পাসবুক নিজের দখলে নিয়ে নেন জনসন। শুধু তাই-ই নয়, ওয়েনরাইটের দেহ ঘরে ভিতরে ফ্রিজের মধ্যে দু’বছর ধরে লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ টাকা জনসন তুলেছিলেন সেই টাকা নিজের হাতখরচের জন্য ব্যবহার করেন। ওই টাকা দিয়ে নিজের শখ মেটাতেন। বিভিন্ন জিনিস, পোশাক কেনাকাটা করতেন। এ ভাবেই ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়েনরাইটের পেনশনের টাকায় আয়েশ করে গিয়েছেন জনসন। ওয়েনরাইটের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০২০ সালের ২২ অগস্ট। তার পরই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জনসনকে।
সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। আদালতে, জনসন দাবি করেন, যে টাকা তিনি দু’বছর ধরে তুলেছেন ওয়েনরাইটের ব্যাঙ্কের কার্ড ব্যবহার করে, সেই টাকা তাঁরই। আদালতে পুলিশ জানায় যে, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০-র ৭ মের মধ্যে বিপুল অঙ্কের টাকা ওয়েনরাইটের অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। তবে তিনি কোনও প্রতারণা করেননি বলে আদালতে দাবি করেছেন জনসন। যদিও আদালত সেটি মানতে চায়নি। একই সঙ্গে ওয়েনরাইটের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়েছিল, নাকি তাঁকে টাকার জন্য খুন করা হয়েছে, সেই বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।