—প্রতীকী ছবি।
সপরিবারে ব্রিটেনে থাকা আরও কঠোর হল সে দেশের ভিসা পাওয়া মানুষজনের জন্য। ফ্যামিলি ভিসা অর্থাৎ পরিবার নিয়ে ব্রিটেনে থাকার যে ন্যূনতম শর্ত, তা আরও কঠোর করল সে দেশের কনজ়ারভেটিভ পার্টির সরকার। আগে ব্রিটেনে বসবাসকারী কর্মজীবী মানুষজন তাঁদের পরিবারের জন্য ভিসার আবেদন করলে দেখা হত আবেদনকারী বছরে অন্তত ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৬ টাকা) বেতন পান কি না। এ বার ন্যূনতম মাসিক বেতনের অঙ্ক বাড়িয়ে ২৯ হাজার ২০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা) করা হল।
ব্রিটিশ সরকারের তরফে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, করদাতাদের উপর অভিবাসন ব্যবস্থার গুরুভার লাঘব করতে এবং অনিয়ন্ত্রিত শরণার্থী সমস্যা মেটাতেই তাদের এই পদক্ষেপ। কিছু দিন আগে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানিয়েছিলেন, তাঁরা ব্রিটেনের অভিবাসন ব্যবস্থাকে পুরো বদলে দিতে চান।
তবে এক ধাক্কায় মাসিক আয়ের নিম্নসীমা ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরিজীবী অনেকেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষ কর্মী বা শ্রমিকদের জন্য আয়ের নিম্নসীমা আগামী বছরেই আরও ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি করতে চলেছে ব্রিটেনের সরকার। সে ক্ষেত্রে পরিবার নিয়ে থাকতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা) বেতন পেতে হবে।
আগামী বছরের গোড়ায় ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। একাধিক সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে যে, ভোটে শোচনীয় ফল করতে চলেছে কনজ়ারভেটিভ পার্টি। এমনকি সুনক নিজের আসনেই জিততে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ সমীক্ষাতে দাবি করা হয়েছে, ফের লন্ডনের মসনদে ফিরতে চলেছে লেবার পার্টি। অনেকেরই মত, এই আবহে কঠোর অভিবাসন নীতি প্রয়োগ করে ব্রিটেনবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করছে সুনক, বরিস জনসনদের দল। ব্রিটিশ সরকারের তরফে তাই এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হচ্ছে, ব্রিটিশ শ্রমিক এবং কর্মজীবীদের রক্ষা করতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, অন্য দেশের দক্ষ শ্রমিকেরা ব্রিটেনের কাজের বাজারে ভাগ বসাচ্ছেন বলে দেশের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন। সাধারণত ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ দু’বছর ন’মাস। তার পর আবার মেয়াদবৃদ্ধির জন্য আবেদন জানাতে হয়।